বিয়ানীবাজারে পিতা খুনের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে পুত্র।
নিজস্ব সংবাদদাতা
বিয়ানীবাজারের পল্লীতে পিতা খুনের নির্মম ঘটনা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে পুত্র। শুক্রবার দুপুরে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দিলরুবা ইয়াছমিনের আদালতে পিতাকে খুনের কারণ জানিয়ে নিজেকে অনুতপ্ত বলে জানায় ঘাতক জসিম। বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিল্লোল রায় বিষয়টি জানিয়েছেন।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিকালে জসিম জানায়, ঘরের চাল নিয়ে বাইরে বিক্রিকালে দেখে ফেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতা আব্দুল আজিজ। এ নিয়ে ঝগড়া শুরু হলে পিতাকে কুড়াল দিয়ে কুপ মারে সে।
জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ পড়ন্ত বয়সে ২য় বিয়ে করেন। এ নিয়ে বিয়ের পর থেকেই পিতা এবং পুত্রদের মধ্যে বনিবনা ছিলনা। প্রায়ই এ বিয়ে নিয়ে পিতা-সন্তানদের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ হতো। বৃহস্পতিবার বিকেলেও এমন ঝগড়া হয়। এ সময় পুত্র কুড়াল দিয়ে আঘাত করেন পিতাকে। তৎক্ষণাত মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা। কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত বীর মুক্তযোদ্ধার নাম আব্দুল আজিজ (৭৫)।
এ ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই ঘাতক পুত্র জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সমাহিত করা হয়েছে। বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামে গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। নিহতের ২য় স্ত্রী আম্বিয়া বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, ঘাতক জসিম বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজের প্রথম স্ত্রীর প্রথম পুত্র। গ্রেফতারকৃতকে আদালতে সোপর্দ করলে সে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।