বিয়ানীবাজারে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থীকে কথিত পাগলের হত্যাচেষ্টা: তোলপাড়
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
এ এক রহস্যঘেরা ঘটনা, ৫-৬দিন পেরিয়ে গেলেও জঠ খুলছেনা। ভিতরে-ভিতরে নানাকথা, অনেক প্রশ্ন। যদিও উত্তর নেই কারো কাছে। কথিত ওই পাগল প্রাণে মারতে চেয়েছিল বিয়ানীবাজার পৌরসভার সাবেক বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী আবু নাসের পিন্টুকে। তবে ভাগ্য প্রসন্ন থাকায় তিনি এ যাত্রায় বেঁচে গেছেন বলে মনে করেন পৌরবাসী।
জানা যায়, বিয়ানীবাজার পৌরশহরের স্যানেটারী কার্যালয়ের সামনের গেটে প্রায় ৭-৮ মাস থেকে অবস্থান করছিলেন ভবঘুরে এক ব্যক্তি। রোদে পুড়ে-বৃষ্টিতে ভিজে দিনরাত কাটালেও তিনি কারো ক্ষতি করেননি। গভীর রাতেও তাকে রাস্তার পাশে বসে অথবা শুয়ে থাকতে দেখা যেত। তিনি কখনো চুল-দাঁড়ি কাটেননি। কারো কাছে কখনো হাতও পাতেননি কথিত ওই পাগল। এমন আচরণে স্থানীয় অনেকেই তাকে খাবার-দাবার কিনে দিতেন। কেউ আবার টাকা-পয়সাও তাকে দিয়ে মানষিক তৃপ্তি পেতেন। এর রেশ ধরে কথিত ওই পাগলকে প্রায়ই খাবার-টাকা পয়সা তুলে দিতেন বিয়ানীবাজার পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও গত পৌর নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আবু নাসের পিন্টু।
গত ১৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টার দিকে পিন্টু বাড়ি ফেরার পথে কথিত ওই পাগলকে আবার খাবার দিতে গেলে বাঁধে বিপত্তি। ওই ব্যক্তি গলায় ধারালো দা’ ধরে তাকে প্রাণে খুন করার চেষ্টা চালায়। এ সময় বাড়ি ফিরতে যাওয়া অপর পথচারীরা তাকে রক্ষা করেন। তখন বিক্ষুব্দ পথচারীরা ওই ব্যক্তিকে ঘিরে ধরে তল্লাশি চালালে তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, ৩টি দা ও বেশকিছু টাকা পাওয়া যায়। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, ওই ব্যক্তির কাছে থাকা সচল মোবাইল ফোনটি কোথা থেকে এলো। ওই মোবাইল ফোনে চার্জ দেয়া হয় কি করে, কার সাথে-কখন মোবাইলে কথা বলতো ওই ব্যক্তি।
আবু নাসের পিন্টু জানান, আমি প্রায়ই তাকে টাকা-পয়সা দেই। এদিনও তাকে নতুন একটি লুঙ্গি এনে দেয়ার পর সে দা নিয়ে আমাকে খুন করার চেষ্টা করে। তার কাছে কাভারসহ ছুরি পাওয়া গেছে। পিন্টু বলেন, ওই ব্যক্তি ভারতীয় কেরালা ভাষায় কথা বলে। তার আচরণ রহস্যঘেরা। মূলত: আমাকে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে সে।
ঘটনার পর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তল্লাশি করে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা, দা, ছুরি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। রাত ৩টা থেকে কথিত ওই পাগল ব্যক্তি নিখোঁজ হওয়ায় এ ঘটনার রহস্য আরো ঘনিভূত হচ্ছে। হয়তো এ রহস্য আর জানা হবেনা কখনো, এমনটি মনে করেন ঘটনার শিকার আবু নাসের পিন্টু।