বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাব সম্পাদকের রিট; অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে হাইকোর্টের রুল
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল, আইপি টিভি বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে বিধিমালা কেন তৈরি করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত ১ সেপ্টেম্বর দেওয়া রুলের বিষয়টি এদিন জানা যায়। এর আগে, আগস্টে সিলেটের বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রাফিকা খাতুন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
রিটের পক্ষের আইনজীবী সৈয়দা রাফিকা খাতুন বলেন, ‘অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল, আইপি টিভি ও নিউজ সংক্রান্ত ফেসবুক পেজে অনেক সময় ভুয়া খবর পরিবেশন করা হয়। এতে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। বিদেশেও বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এসব কারণে রিটটি দায়ের করা হয়। আদালত এসব ইস্যুতে রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।’
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মোহাম্মদ জয়নুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিয়ানীবাজারসহ সারাদেশে অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল, আইপি টিভি ও নিউজ সংক্রান্ত ফেসবুক পেজে অনেক সময় ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। আর এসব প্রতিষ্ঠানে বেশিরভাগ সময়ই অদক্ষ লোকজন কাজ করে থাকে। সংবাদকর্মী নিয়োগেও কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করা হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব প্রতিষ্ঠানকে নিয়মের মধ্যে আনা এবং সাংবাদিকদের জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। এসব কারণেই নিজে উদ্যোগী হয়ে রিট দায়ের করি।’