বড়লেখায় কিশোরী মেয়েকে বাঁচাতে বিত্তবানদের প্রতি অসহায় বাবার আকুতি
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
এমনিতেই আব্দুস সালামের অভাবের সংসার। কোনোমতে ঝালমুড়ি-আচার বিক্রি করেই চলছিল তাঁর সংসারের চাকা। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সালামের ঝালমুড়ি-আচার বিক্রি বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় পরিবার নিয়ে কোনোমতে দিন চলছিল সালামের। কিন্তু হঠাৎ করেই যেনো সালামের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। কারণ তাঁর ছোট মেয়ে ছাদিয়া আক্তারের (১৫) হার্টের ভাল্ব নষ্ট হয়ে গেছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ছাদিয়াকে বাঁচাতে হলে প্রয়োজন ৬ লাখ টাকা। কিন্তু যেখানে দুবেলা দুমোঠো খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাই কঠিন সেখানে মেয়েকে বাঁচাতে ৬ লাখ টাকা কোথায় পাবেন আব্দুস সালাম ? এই অবস্থায় চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছেন তিনি। অর্থের অভাবে তিনি মেয়েকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে পারছেন না। তাই মেয়েকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার পানিধার এলাকার বাসিন্দা ঝালমুড়ি-আচার বিক্রেতা আব্দুস সালামের মেয়ে নারীশিক্ষা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছাদিয়া আক্তার সম্প্রতি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবার তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান ছাদিয়ার হার্টের ভাল্ব নষ্ট হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে বাঁচাতে হলে প্রয়োজন ৬ লাখ টাকা। কিন্তু দরিদ্র সালামের পক্ষে ৬ লাখ টাকা যোগাড় করা সম্ভব নয়। এই অবস্থায় মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছেন না তিনি।
আব্দুস সালাম বলেন, এমনিতে অভাবের সংসার। ঝালমুড়ি-আচার বিক্রি করে কোনোমতে পরিবার চলছিল।
করোনাভাইরাসের কারণে এখন তাও বন্ধ রয়েছে। আয়-রোজগার নেই। কোনোমতে খেয়েপরে বেঁচে আাছি। অভাবের মধ্যে আমার মেয়ের হার্টের ভাল্ব নষ্ট হয়ে গেছে। ডাক্তাররা বলেছেন, আমার মেয়েকে বাঁচাতে ৬ লাখ টাক লাগবে। কিন্তু আমি এত টাকা কোথায় পাবো? সমাজের বিত্তবানরা যদি একটু সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে হয়তো আমার মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারবো।
কেউ সহায়তা পাঠাতে চাইলে এই নম্বরে (বিকাশ) যোগাযোগ করতে পারেন : 01811-106972
সৌজন্যেঃ সিলেটভিউ২৪ডটকম