বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারির উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহায়ক প্রণব চন্দ্র দাসের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন হয়েছে। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারিরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শুভ্রাংশু শেখর দে ও ডা. শারমিন আক্তার, সিনিয়র স্টাফ নার্স প্রতিভা রানী দে, এমটিইপিআই শৈলেশ চন্দ্র নাথ, স্বাস্থ্য সহকারি মাসুক আহমেদ ও গীতা রানী দাস, সিএইচসিপি বিনিত দাস প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত হাসপাতাল কর্মচারির অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ১২ বছর থেকে ১৭ বছর বয়সীদের করোনার প্রথম ডোজের টিকা প্রদান কার্যক্রম চলছিল। দুপুরের দিকে উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউপির উত্তর চান্দগ্রামের খায়রুল ইসলামের ছেলে মাশরাফি আলম মাহী ফাইজারের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে লাইন ছাড়াই বুথে প্রবেশ করে অপেক্ষমানদের পেছনে ফেলে তাকে টিকা দিতে জোরজবদস্তি শুরু করে। এসময় অফিস সহায়ক প্রণব চন্দ্র দাস তাকে লাইনে যেতে অনুরোধ জানান।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে অফিস সহায়ক প্রণব চন্দ্র দাস, টিকা কার্যক্রমে নিয়োজিত সিস্টার ও ব্রাদারদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে হাসপাতালের নিচে চলে যায়। প্রায় আধঘন্টা পর প্রণব চন্দ্র দাস হাসপাতালের নিচে গেলে মাশরাফি আলম মাহী প্রণবকে ডেকে নিয়ে আরো ৭-৮ যুবক মিলে বেধড়ক মারধর করে। এসময় প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রণব দাসকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় আহত প্রণব চন্দ্র দাস অভিযুক্ত মাশরাফি আলম মাহীকে প্রধান ও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা করেছেন। আহত প্রণব হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন চন্দ্র দেবনাথ শুক্রবার বিকেলে বলেন, হাসপাতাল কর্মচারী প্রণব চন্দ্র দাসকে মারধরের ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামীদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Source: Sylhetview24.news