মসজিদের কক্ষে প্রেমিকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ধরা পড়লেন ইমাম
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
মসজিদের কক্ষে তরুণীর সঙ্গে আপত্তিকর ঘটনার অভিযোগে জনতার হাতে মোহাম্মদ আলী নামে এক ইমামকে আটকের পর মুচলেখা রেখে ছেড়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের আশরাফবাদ গাউসুল আজম জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
মোহাম্মদ আলী বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পুরান কদমতুলী গ্রামের মো. ফয়জুর রহমানের ছেলে। ঘটনার খবর পেয়ে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হোসেনপুর গ্রামের একজন মারা যাওয়ার পর মাইকে ঘোষণা দিতে এলাকাবাসী মসজিদে গিয়ে ইমামকে খোঁজ করতে থাকেন। পরে তাকে না পেয়ে মসজিদ ঘেঁষা ইমামের থাকার কক্ষের জানালার ফাঁক দিয়ে ইমাম মোহাম্মদ আলীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান তারা। পরে ইমামের কক্ষে এলাকাবাসী এসে ধাক্কাধাক্কি করলে পরিস্থিতি খারাপ দেখে পেছনের দরজা দিয়ে মেয়েটিকে বের করে দেন তিনি। পরে এ ঘটনায় এলাকার লোকজনক জড়ো হয়ে উত্তেজিত হয়ে ওঠে।
ইমামের কক্ষে আসা মেয়েটি একই উপজেলার আসাদনগর গ্রামের বাসিন্দা। তারা দু’জনই অবিবাহিত। খবর পেয়ে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় পুলিশ ইমামের ফেসবুক ইনবক্সে গিয়ে মেয়ের সাথে অনেক আপত্তিকর কথাবার্তার তথ্য পায়। এ সময় কয়েকশ মানুষ মসজিদের সামনে ভিড় জমান। পরে মসজিদ কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে তাৎক্ষণিকভাবে ইমামকে বহিষ্কার করেন।
মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ আলী জানান, মেয়েটি তার পূর্ব পরিচিত। তাকে দরজা বন্ধ করে কক্ষে নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে তার সাথে মেলামেশা করেনি বলে তিনি দাবি করেছেন।
ইমামের ভাই আওয়াল মিয়া বলেন, এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি মসজিদে আসি। পরে ঘটনা জানতে পারি। এলাকার লোকজন মুচলেখা রেখে তাকে আমার হাতে তুলে দেন।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ সেলিম এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, একজন ইমাম এত নিকৃষ্ট হতে পারে ভাবতে পারছি না। তার মতো ইমামের পেছনে নামাজ পড়াটা উচিৎ হয়নি। তবে মসজিদ কমিটি এখন থেকে আর অবিবাহিত ইমাম নেবেন না বলে আমাকে জানিয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে বাঞ্ছারামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মসজিদে যায়। এর আগে মেয়েটি পালিয়ে গেছেন। ইমামের সাথে মেয়েটির সম্পর্ক রয়েছে বলে ওই ইমান পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তবে তার সাথে কোনো ধরনের আপত্তিকর ঘটনা ঘটান নি বলেও দাবি করেন। পরে মেয়ের পক্ষ থেকে অভিযোগ না থাকায় ওই ইমামের বড় ভাই আওয়াল মিয়ার জিম্মায় মুচলেখা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।