মানব আর মানবতা একই সুতােয় গাঁথা
মোঃ জাকির হোসেনঃ
দেশ ও দশের জন্য সমাজের দায়বদ্ধতাটুকু পালন করার প্রকৃত কাজের নামই হলো মানবতা। মানব আর মানবতার মধ্যে যথেষ্ট মিল রয়েছে। কেননা একে অপরের সাথে একই সুতােয় গাঁথা।
বিশ্বের প্রতিটি দেশে মানবতা রয়েছে, বলেই সবাই একে অন্যের পাশে প্রতিনিয়ত বিশেষ করে এশিয়ার দেশ গুলোর মধ্যে মানবতার কমতি নেই বললে ও চলে। বর্তমানে ইউরোপের দেশ গুলোতে মানবতার দৃশ্য দৃষ্টান্তমূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ধনি-দরিদ্র, সাদা-কালো সবই এক উপরওয়ালার তৈরি। অথচ মানবজাতির মাঝে বহু রকম বৈষম্যের কারন হয়ে দাঁড়ায়। ক্ষমতাবানদের ক্ষমতার দাপট তা যেন সেই অনন্তকাল ধরে বিশ্বের বুকে হাতছানি দিয়ে বয়ে বেড়াচ্ছে। হয়তো বা এর জন্যই মানব জাতি দায়ী।
ধর্ম-বর্ণ আজ পৃথিবীর বুকে বিশাল থেকে বিশালতায় রুপ নিয়েছে। মানবজাতির যথেষ্ট জ্ঞান-প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও ধর্ম নিয়ে ঝগড়া, বিরোধিতায় মশগুল। প্রত্যেকের নিজস্ব জ্ঞান ভান্ডার, বিচার ও বিবেচনার মত সাধ্য রয়েছে। তারপর ও প্রায় ইউরোপের প্রতিটি দেশে বিশেষ করে (একটি মহল) ইসলাম ধর্মকে হেয় করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। বর্তমানে ভারত তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
যু্ক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েড (৪৬) নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ নির্মমভাবে শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে মারা যাওয়াতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে বিক্ষোভ আন্দোলনের রেশ এখনো শেষ হয়নি। ইসলাম ধর্মের লোকজন বারবার বৈষম্যে ও নির্যাতিত হচ্ছেন। কোথাও কোন জোরালো প্রতিবাদ দেখা যায়নি। অনেকের মতে, এককভাবে কিছু কিছু দেশে প্রতিবাদ নামে মাত্র শুরু হলেও আলোর মুখ দেখেনি।
বর্ণ-বৈষম্যের নীতি পরিহার করে মানবের তরে মানবতার কাজে নিয়োজিত হয়ে প্রত্যেকে মানব জাতির মূল উদ্দেশ্যে হওয়া অত্যাবশ্যক। কবিড-১৯ এর কারনে পুরো বিশ্বে যে হারে মানবতার সেবায় এগিয়ে এসেছে তা কল্পনাতীত। বিশেষ করে বাংলাদেশের সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা মানবতার দৃষ্টান্তস্থাপন করেছে। প্রবাসীদের অবদানও যথেষ্ট।
বিশ্বের প্রতিটি দেশে যখন-বেহায়াপনার মাত্রা বৃদ্ধি ও মানবতা ক্রমশঃ হারে লোপ পাচ্ছিলো হয়তো সেই মুর্হুতে এ মরনব্যাধী ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটেছে। সকল ক্ষমতাধর ব্যক্তির উর্ধ্বে পুরো বিশ্বের মালিক, তিনিই সৃষ্টির সেরা-সৃষ্টিকর্তা। জাতি গোষ্ঠির পার্থক্যের ভেদাভেদ ভুলে মানবতার সেবায় নিয়োজিত হওয়ার নামই মানবসেবা। মানবসেবার আরেক নাম হলো-মানবতা।
লেখকঃ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক ও বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সদস্য।