মিছিল স্লোগানে নাই তবু কমিটিতে ঠাঁই
সজীব ভট্টাচার্য্য
বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ৫ জুন অনুমোদন পেয়েছে। বিগত দিনে জোট সরকার বিরোধী আন্দোলনে দমন পীড়নের শিকার ত্যাগী সাবেক ছাত্র নেতাদের নাম নেই কমিটিতে। তাদের বাদ দিয়েই পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বেশ কিছু নিস্ক্রিয় নেতাদের নাম এসেছে। এরা কখনও বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। যাদের হাত ধরে বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু হয়েিেছল তাদের পরিবারের কাউকে বর্তমান কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয়নি এমন দাবী সাবেক ছাত্র নেতাদের। এমনকি সাবেক ভিপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজমুল ইসলাম সম্মেলনে সভাপতির পদে প্রতিদন্ধীতা করলেও তিনি ঠাঁই পাননি কমিটিতে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের দেওয়া কমিটি নিয়ে বঞ্চিত নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এদের মধ্যে রাজনীতিতে সক্রিয় সাবেক ছাত্রনেতা যারা কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন বিয়ানীবাজার কলেজের সাবেক ভিপি হোসেন আহমদ, সাবেক ছাত্রনেতা ফরিদ উদ্দিন, সাবেক ভিপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজমুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা বিবেকান্দ দাস, আব্দুল মুমিত, বিয়ানীবাজার কলেজের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম (আতিক), সাবেক ভিপি সাইফুল ইসলাম নিপু, লাউতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রনেতা গৌছ উদ্দিন, বিয়ানীবাজার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব ভট্টাচার্য্য, সাবেক ছাত্রনেতা সাব্বির হোসেন, আব্দুল হাছিব খোকন, ছিদ্দিকুর রহমান, মস্তাক আহমদ সহ আরো অনেকে।
বিয়ানীবাজার কলেজের সাবেক ভিপি হোসেন আহমদ বলেন, বিয়ানীবাজারের অনেক সাবেক ছাত্রনেতা মাঠে ঘাম ঝরালেও বঞ্চিত করা হয়েছে তাঁদের। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। অনেক নিস্ত্রিয়দের স্থান দেয়া হয়েছে কমিটিতে। এই কামিটি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মনগড়া কমিঠি হয়েছে।
সাবেক ছাত্রনেতা, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট মহানগর শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল মুমিত বলেন, ধরে নেন একজন পুলিশ কনস্টেবল রাতে ঘুম থেকে উটে শুনলো তাকে পুলিশের ডিআইজি মনোনীত করা হয়েছে। তখন পুলিশ প্রসাশনে যা ঘটবে কিংবা দেশের যে অবস্থা হবে, তাই হয়েছে বিয়ানীবাজার উপজেলার নব গঠিত কমিটিতে। শুধু বিয়ানীবাজার নয় সিলেটে কনস্টেবল ডিআইজি র দায়িত্বে। তো এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করা ভূল।
সাবেক ভিপি সাইফুল ইসলাম নিপু বলেন, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে নব্য আওয়ামী লীগের সংখ্যা বেশী। অনেকে কমিটিতে এসেছেন এদেরকে কখনও আওয়ামী লীগ করতে দেখিনি। এই কমিটির অনেকে অন্যদল করতো। তারা দল বদল করে নব্য আওয়ামী লীগে এসেছে। আর যারা সারা জীবন আওয়ামী লীগ করলো রাজপথে ছিলো তাদের নাম নেই। অনেকে দীর্ঘদিন থেকে প্রবাসে থাকাবস্থায়ও তাদের নাম কেন গুরুত্বপূর্ণ পদে দেয়া হলো। বাদ পড়া ত্যাগী নেতাদের নিয়ে নতুন করে কমিঠি আরেক দফা সংশোধন করা হউক।
লাউতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রনেতা গৌছ উদ্দিন বলেন, বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগের মিছিলে কেউ কোনো দিন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দেখেনি। ছিলেন না কোনো কর্মসূচিতেও। দলীয় কোনো কর্মসূচিতে তাঁদের ছায়াও কখনো দেখেনি কেউ। তার পরও তারা উপজেলা কমিটির সদস্য বনে গেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের আস্থাভাজন হওয়ায় অযোগ্য অনেকেই পদ বাগিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে বঞ্চিত করা হয়েছে ত্যাগী নেতাদের।