মোটরচালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
অবশেষে দুর্ঘটনা এড়াতে মোটরচালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পর্যায়ক্রমে ইজিবাইক, নসিমন, করিমন ও ভটভটিও বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
রোববার (২০ জুন) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য টাস্কফোর্সের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। যেই কমিটির ১১১টি সুপারিশ ছিল। পরে এ বিষয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। বেশকিছু সুপারিশ বাস্তবায়নে পথে, অল্প কিছু বাস্তবায়িত হয়েছে। বাকিগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করবো, আমরা সেই বিষয়ে কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছি।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি সারাদেশে রিকশা-ভ্যানের মধ্যে মোটর লাগিয়ে রাস্তায় চলছে। শুধু সামনের চাকায় ব্রেক, পিছনের চাকায় কোনো ব্রেক নেই বা ব্যবস্থা থাকলেও তা অপ্রতুল। সেগুলো যখন ব্রেক করে যাত্রীসহ গাড়ি উল্টে যায়। এ ধরনের দৃশ্য আমরা দেখেছি। আমরা দেখেছি হাইওয়েগুলোতেও এ রিকশা চলে আসছে। এজন্য সারাদেশে এ ধরনের মোটরচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত সভায় নেয়া হয়েছে।
ইজিবাইক, নছিমন-করিমন, ভটভটি বন্ধের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সব জায়গায় যানবাহনের ব্যবস্থা করতে পারিনি। গ্রামে সুন্দর রাস্তা হয়েছে। হাঁটা কিংবা সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা ছাড়া পর্যাপ্ত যানবাহন নেই। সেজন্য নছিমন, করিমন পণ্য পরিবহন কিংবা যানবাহনের বিকল্প হিসেবে কাজ করছে। তবে শিগগিরই এটাকে পরিমিত করা এবং ফাইনালি বন্ধ করা যায় কি-না তা নিয়ে আলোচনা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ছোট ছোট গলিতে ইজিবাইকগুলো চলার কথা ছিল। কিন্তু এরা সর্বত্র বিচরণ করছে। ডিএমপি কমিশনার জানিয়েছেন, ১৩ হাজার মোটরচালিত রিকশা-ভ্যান ধ্বংস করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে আমরা এটাও বন্ধ করে দেব।
সভায় সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান, সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. মসিউর রহমান রাঙা, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, টাস্কফোর্সের অন্য সদস্যরা সশরীরে ও ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।