মোবাইল ও ইন্টারনেটের বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহার করার দাবি সংসদে
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্ক:
২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবায় যে ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান। ইনু বলেন, টেলিকম সেক্টরে মোবাইলের ওপর ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে। ইন্টারনেটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে।
আলোচনায় করোনা পরিস্থিতির কারণে গণমাধ্যম ধুঁকছে মন্তব্য করে সরকারকে গণমাধ্যমের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান হাসানুল হক ইনু।
গণমাধ্যমের দুরবস্থার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, গণমাধ্যম এখন ধুঁকছে। কর্পোরেট কর ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামাতে হবে। নিউজ প্রিন্টের ওপর থেকে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করতে হবে। বিজ্ঞাপন আয়ের উৎসে কর ৪ শতাংশের স্থলে ২ শতাংশ করতে হবে। কাঁচামালের ওপর ৫ শতাংশ আবগারি শুল্ক কমিয়ে শূন্য করতে হবে।
প্রসঙ্গত গত ১১ জুন জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে বাজেটে মোবাইল সেবার ওপর কর আরেক দফা বাড়িয়েছে সরকার। এই দফায় সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা গত বছরও একই হারে বাড়ানো হয়েছিল। ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলা, এসএমএস পাঠানো এবং ডেটা ব্যবহারের খরচও বেড়ে যাবে।
নতুন করহারে মোবাইল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ১৫ শতাংশ, সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ ও সারচার্জ ১ শতাংশ। ফলে মোট করভার দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এটি কার্যকর হলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কেউ যদি ১০০ টাকার সেবা নিতে চান, তাহলে ৭৫ দশমিক শূন্য ৩ টাকার সেবা নিতে পারবেন। ২৪ দশমিক ৯৭ টাকা যাবে সরকারের পকেটে।