লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর হয়েছে বিয়ানীবাজারের প্রশাসন
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ও জনসাধারণকে সচেতন করতে মাঠে রয়েছে প্রশাসন, বিজিবি ও বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ। চলমান কঠোর লকডাউনে বুধবার উপজেলা প্রশাসনের সাথে দিনব্যাপী মাঠে ছিল বিজিবি ও জেলা পুলিশের পৃথক আরেকটি দল।
বিয়ানীবাজার পৌরশহর ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে থানা পুলিশের টহল আরও জোরদার করা হয়েছে। পৌরশহরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে জনসমাগম বেড়ে যাওয়ায় এবং দোকানপাট বিপণি বিতানসমূহে লুকিয়ে বেচাকেনা বেড়ে যাওয়ায় সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষায় একসাথে ৫০জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ায় তৎপর হয়ে ওঠে প্রশাসন। বুধবার সকাল থেকে পৌরশহরের প্রধান মোড় প্রমথ নাথ দাস রোডের সামনে অবস্থান নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক নূর। আর শহরের বিভিন্ন বিপনী বিতানে অভিযান শুরু করেন সহকারি কমিশণার (ভূমি) মুশফিকুন নুর।
বিকেলে একই মোড়ে অবস্থান নেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) মোহাম্মদ জাকির হোসেন, বিয়ানীবাজারের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিল্লোল রায়, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসানসহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ দল। এ সময় প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশির মুখে পড়তে হয়। উপজেলার চারখাই, দুবাগ বাজার, বারই্গ্রামসহ অন্যান্য এলাকায়ও তৎপর ছিল প্রশাসন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেনের নেতৃত্বে পৌরশহরের সদরের বিভিন্ন সড়কে করোনাভাইরাস রোধে গণসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, চলমান কঠোর লকডাউন চলাকালে নানা অজুহাতে লোকজন বাইরে বের হচ্ছেন। মাস্ক ব্যবহারে অনীহাসহ স্বাস্থ্য সচেতনতায়ও উদাসীনতা চোখে পড়ে। তাই সাধারণ মানুষজনের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সচেতনতা তৈরির লক্ষেই থানা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) আশিক নূর জানান, সরকারের ঘোষিত কঠোর লকডাউন কার্যকর করতেই প্রশাসন মাঠে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিয়ানীবাজার উপজেলায় সচেতনতামূলক নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।