শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে সিলেটে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা, রাস্তায় বসে ক্লাস
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে সিলেটে ধারাবাহিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট নগরীতে সোমবার (৩১ মে) সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতীকী ক্লাসের আয়োজন করেন। এসময় তারা রাস্তায় বসে পাঠগ্রহণ করেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।প্রতীকী ক্লাসে শিক্ষক হিসেবে ছিলেন সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান স্থপতি রাজন দাস। এসময় দেশের সমসমায়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি আলোচনা করেন। তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিও জানান। প্রতীকী ক্লাসে সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষাথীরা অংশ নেন।
সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে প্রতীকী ক্লাস পরবর্তী সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মদন মোহন কলেজের শিক্ষাথী শিক্ষার্থী সাকিব রানা। এর আগে সূচনা বক্তব্য দেন লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান প্রান্তিক।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজু শেখ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অসীম কুমার বৈষ্নব, মদন মোহন কলেজের শিক্ষার্থী মোহাইমিনুল ইসলাম মাহিন, এমসি কলেজের শিক্ষার্থী সুরাইয়া পারভিন আখি, রাকিবুল হাসান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘দেশের গার্মেন্টস, অফিস-আদালত সবকিছুই স্বাভাবিক নিয়মে চলছে। অফিসার-কর্মচারী সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করছে, তাহলে শিক্ষার্থীরা কেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করতে পারবে না। আমরা আজকে প্রতীকী ক্লাস করার মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এই বার্তা দিলাম যে স্বাস্থ্যবিধি মেনেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া সম্ভব।’
তারা বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে গত প্রায় দেড় বছর ধরে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। লেখাপড়ার বাইরে থাকায় নানা কাজে জড়িয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় উচ্চশিক্ষাও ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সেশনজট তৈরী হয়েছে। ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকায় চাকরির ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভালো নেই। শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে থাকায় মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ারও আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। কিন্তু সরকারের এসব শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। গত দেড় বছরেও সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা করতে পারল না সরকার। অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্টান খুলে দেওয়ার দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে।’ এসময় তারা দ্রুতসময়ের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের টিকা দেওয়ার দাবিও জানান।
Source: Sylhetview24