শীতের শিশির -মোহাম্মদ শামছ উদ্দিন
কুয়াশার এই চাদর-ঘেরা শীত এসেছে ভাই,
ভাপা পিঠার গন্ধে গ্রামের ‘সকাল’ জাগে তাই।
একমুঠো রোদ এক কাপ চা মাঠের দূর্বাঘাস,
শিউলি ফোঁটা ভোরের আশে আমার স্বপ্নচাষ।
হারিয়ে গেছে শীতের শিশির অট্টালিকার ভীড়ে,
শৈশবের ঐ শীত-মাখা রোদ আর পাবোনা ফিরে।
চাদর-মাখা উষ্ণতা আজ হারিয়ে গেছে ভাই,
ষড় ঋতুর সোনার বাংলায় শীতের দেখা নাই।
শীত মানে আজ বিলাস যাপন কুয়াকাটা-তীরে,
শিলং কিংবা দার্জিলিং এর কাঞ্চনজঙ্ঘা ভোরে,
আমার গাঁয়ের মেঠো পথের শীতের সুধাটুকু,
সারা জগত খুঁজে তুমি কোথাও পাবেনাকো।
গ্রীষ্ম আসে বর্ষা বহে আর বসন্ত দেয় উঁকি,
শরৎ আর হেমন্ত ফেলে শীত দিয়েছে ফাঁকি।
কৃষ্ণকলি ও হলুদ গাঁদা আর যাবেনা দেখা,
শিশির ভেজা মেঠো পথে পা হবে না রাখা।
হলদে চাদর বিছিয়ে যেন ডাকছে শর্ষে-মাঠ,
শীতছাড়া এই সবুজ বাংলা শুকিয়ে যাওয়া কাঠ।
আজও শীতে মন ছুটে যায় ফেলে আসা দিনে,
শুভ্র সতেজ শীতের শিশির আজও কেবলি টানে।
শীত মোদের ডাক দিয়েছে আয়রে সবাই ছুটি,
আনন্দ সুখ ভাগ করে খাই সবাই লুটোপুটি।
আজ থেকে আর কাটবোনা গাছ ভরাবোনা নদী,
শীতের সোনা-রোদমাখা দিন থাকবে নিরবধি।
(নভেম্বর ১১,২০২০-উপশহর, সিলেট)