শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পিটিয়ে হত্যা করা বাংলাদেশির লাশ গ্রহণ
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
অনুপ্রবেশ করায় গরু চোর সন্দেহে পিঠিয়ে হত্যা করা এক বাংলাদেশীর লাশ গ্রহণ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শুক্রবার বিকেল পৌণে ছয়টায় সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা স্থলবন্দর এলাকায় বিএসএফ-বিজিবি পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতের পাথরকান্দি থানার পুলিশ বাংলাদেশের বিয়ানীবাজার থানার পুলিশের নিকট লাশ হস্তান্তর করে।
এ সময় বিজিবি-র পক্ষে সহকারী পরিচালক মমিনুল ইসলাম, বড়গ্রাম ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. আলী আজগর ও জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. ইমামুুল মুুন্তাসির এবং বিএসএফ-এর পক্ষে সুতারকান্দি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার ইন্সপেক্টর বিষ্ণু কুমার, পাথরকান্দি থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর তনভির আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হস্তান্তরের জন্য বিএসএফ ওই সীমান্তে লাশ নিয়ে এলেও তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না থাকায় বিজিবি লাশ গ্রহণ না করে ফেরত দেয়।
শুক্রবার লাশ গ্রহণ করে বিজিবি সকল আনুষ্টানিকতা শেষ করে পরিবারের হাতে তুলে দেয়। এ সময় নিহত রনজিতের মা, কাকা চৈতা রিকমুন, আগনু রিকমুন, বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি যাদব রুদ্র পাল, ইউপি সদস্য মিলন রুদ্র পাল ও মহিলা সদস্য জানকী দুশাদ উপস্থিত ছিলেন।
রাতেই ধর্মীয়রীতি অনুযায়ী রনজিতের লাশ সৎকার করা হয়।
বিএসএফ-এর বরাতে বিজিবি জানায়, জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের ধামাই চা বাগানের নিয়মিত শ্রমিক এবং বাজারটিলা এলাকার বাসিন্দা রশিক লাল রিকমুনের পুত্র রনজিত রিকমুন (৩০) ও একই উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের শিলুয়া চা বাগানের ফাঁড়ি কুচাই চা বাগানের মৃত গাজু মুন্ডার পুত্র মলেন মুন্ডা (৩২) গত রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা সীমান্তের ওপারে ভারতের করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি থানার পুঁথনি চা বাগানের চম্পাবাড়ী এলাকায় অনুপ্রবেশ করে। তখন স্থানীয় জনতা গরু চোর সন্দেহে ওই দু’জনসহ চার জনকে গণপিঠুনি দেয়। এতে রনজিত ঘটনাস্থলে মারা যায় এবং মলেনসহ তিন জন আহত হয়। অপর দুইজন ভারতীয় নাগরিক। ভারতের করিমগঞ্জ হাসপাতালে নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত হয় এবং আহতরা সেখানে পুলিশী পাহারায় চিকিৎসাধীন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৫২ ব্যাটালিয়ন বিয়ানীবাজার-এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. শহীদুল্লাহ জানান, লাশ গ্রহণ করে পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। নিহতের করোনা নেগেটিভ ছিল।