সবাই নামার পর ফেরির ডেকে মায়ের লাশ পেল ১৪ বছরের কিশোর রিফাত
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
ঘাটে ভিড়তেই লোকজন হুড়োহুড়ি করে নামতে শুরু করেন। ব্যাগটা হাতে নিয়ে সবার সঙ্গে নেমে পড়ে রিফাত হোসেনও (১৪)। কিন্তু পন্টুনে গিয়ে দেখতে পায় মা নেই। এদিক সেদিক খুঁজতে খুঁজতে সবাই যখন ফেরি থেকে নেমে গেছে তখন ফেরির ডেকে যায় রিফাত। সেখানে গিয়ে মায়ের দেখা মেলে, তবে মৃত।
মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে মায়ের লাশের পাশে বসে কাঁদতে কাঁদতে এমন বর্ণনাই দিচ্ছিল কিশোর রিফাত। মা নিপা আক্তারকে (৪৫) সঙ্গে নিয়ে ঢাকা থেকে মাদারীপুরে গ্রামের বাড়ি ফিরছিল সে।
আজ বুধবার দুপুরে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে ফেরি শাহ্ পরান ও এনায়েতপুরী থেকে নামতে গিয়ে নারীসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। আহত লোকজনের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রিফাতদের বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বালিতগ্রাম এলাকায়। ঈদে মাকে নিয়ে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি ফিরছিল সে। যাত্রাপথে এনায়েতপুরী নামের ফেরিতে পদদলিত হয়ে মারা গেছেন মা। ঈদের আগে মাকে এভাবে চিরদিনের জন্য হারিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছে রিফাত। আহাজারি করে সে বলছিল, ‘আমার মারে লইয়া গেলো রে আল্লাহ, আমার মা… । আমার মায় কই আল্লাহ। আমার সবকিছু শ্যাষ হইয়া গেল আল্লাহ।’
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, দুটি ফেরিতে মানুষের অসম্ভব ভিড় থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের চাপে পড়েই পাঁচজন মারা গেছেন। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহত লোকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।