সম্মতির যৌন সুখ: প্রেম প্রতারনা আর ধর্ষণ!
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
রুবেল হোসেন (ছদ্মনাম)। পড়াশোনা শেষ করেছেন ঢাকার একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। দ্বিতীয় বর্ষ থেকেই প্রেম করছেন তার বিভাগেরই এক জুনিয়রের সাথে। দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে অসংখ্যবার। কিন্তু এখন প্রেমের সম্পর্কেই চলছে টানাপোড়েন। আর একটা সময় রুবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা ঠুকে দিলেন তার সাবেক প্রেমিকা। রুবেলও পড়েছে বিপদে। কারণ শারীরিক সম্পর্কের সময় তো তার প্রেমিকার কোন রকম অসম্মতি ছিল না। তবে এই সমস্ত সম্পর্কের এতদিন পর কেন এমন অভিযোগে মামলা হল।
যাই হোক বিষয়টি এখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এর বিচারও করবেন আদালত। কিন্তু রুবেলের মতো এই রকম তরুণের সংখ্যা কম নয়। শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, সারা দেশেই এই রকম তরুণের সংখ্যা অনেক। অবশ্য এসবের সব ঘটনায় যে, মামলা হয়েছে তা নয়। বেশিরভাগ ঘটনাই সামাজিকভাবে চেপে যাওয়া হয়েছে।
রুবেলের মতো এই রকম বেশ কয়েকজন তরুণ জানান, একটা সম্পর্কে অনেক কিছুই ঘটে। দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কে একসাথে বাইরে ঘুরতে যাওয়া, খাওয়া-দাওয়া কিংবা উপহার দেওয়া- সবই চলে। আর এখন বেশিরভাগ প্রেমের সম্পর্কে শারীরিক সম্পর্কও হয়ে থাকে। সমাজ, সামাজিকতা বা আইনের দৃষ্টিতে এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু এখানে সবকিছুই হয় গোপনে। সেইসাথে পরস্পরের সম্মতিতে। কারণ জৈবিক এই চাহিদা নারী-পুরুষ সকলেরই থাকে। এর আনন্দও পারস্পরিক। শারীরিক সম্পর্কের সুখ শুধু পুরুষ একা উপভোগ করে না। যৌন সুখ বিষয়টাই পারস্পরিক।
তাদের মতে, দীর্ঘদিন একসাথে চলতে গিয়ে একে অন্যের বিভিন্ন ভালো-মন্দ দিক সম্পর্কে জানতে পারে। তখন সম্পর্কে অনেক সময় ডমিনেশনও চলে আসে। সম্পর্ক তো আর সবসময় সমান্তরালে চলে না। এতে করে একটা সময় সম্পর্কটা আর টেকানো যায় না। একটা সম্পর্ক ভাঙলে ছেলেদেরই সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়। আর্থিক, মানসিক বা সময়। কিন্তু সম্পর্কের ভাঙ্গনে ছেলেরা চুপ থাকলেও অনেক মেয়েই তখন সম্পর্ক নিয়ে সরব হয়ে উঠে। অনেকেই তখন তার শারীরিক দুর্বলতা ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিকে কাজে লাগিয়ে পারস্পরিক শারীরিক সম্পর্ককে ধর্ষণ হিসেবে উল্লেখ করে। সেইসাথে ছেলেটিকে তার পরিচিত মহলে হেয় প্রতিপন্ন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায়।
এই বিষয়ে বেশ কয়েকজন আইনজীবীর সাথেও কথা হয়। তারা জানান, এই ধরণের প্রবণতা সমকালীন। আগে এই রকম অভিযোগ খুব একটা ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি এই ধরণের ধর্ষণের অভিযোগ বাড়ছে। তবে এই ধরণের ঘটনায় মেয়েটিও ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে না। অবশ্য তারা বিবাদীকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এই রকমটা করে থাকে বেশিরভাগ সময়। এর ব্যতিক্রম হয় খুব কম।