সাংবাদিকদের কাছ থেকে বিদায়ক্ষনে অশ্রুসিক্ত প্রফেসর দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে বিষাদের সুর। এই প্রতিষ্টানের প্রধান বিদায় নিবেন হাতেগোনা কয়েকদিন পর। তাঁর বিদায়ের এই ক্ষনে অশ্রæসিক্ত সহকর্মী-শিক্ষার্থীদের সবাই। তবে মহামারি করোনা সবাইকে এক করতে দেয়নি। প্রিয় শিক্ষকের বিদায়ের আবেগঘন চাহনী হৃদয়ে লালন করে আগামীর দিনগুলো বিশ্রামে কাটাবেন প্রফেসর দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ-সবার এই প্রত্যাশা।
আগামী ২৮ জুন বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ আনুষ্টানিক অবসরে যাবেন। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে অধ্যক্ষের কক্ষে তাঁর সভাপতিত্বে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। সেখানে প্রফেসর দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ বলেন, আমি অবসরে যাচ্ছি। কর্মক্ষেত্রে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের ভালোবাসায় আমি সিক্ত। আমি কখনো অধ্যক্ষ হিসেবে কারো সাথে আচরণ করিনি। আমি পঞ্চখন্ডের এক ক্ষুদ্র মানুষ হিসেবে পরিচিয় দিতে ভালোবাসতাম। অবসরে বই পড়বো, মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।
প্রফেসর দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ বলেন, এই প্রতিষ্টানের স্মৃতি আমাকে আমৃত্যু আন্দোলিত করবে। জীবনের সকল সুখস্মৃতি এই প্রতিষ্টানকে ঘিরে। আমার যৌবনের উত্তাল দিনগুলো এখানে কেটেছে। আমি এই সময়ে সফলতার মাপকাঠিতে নিজেকে মাপতে চাইনা, আমি শুধু বলবো এই ক্যাম্পাসের সবুজ ঘাস, ইট-বালুর গাঁথুনিতে তৈরী দেয়াল আমাকে ক্রমেই নস্টালজিয়ায় নিয়ে যাবে। আমি বিয়ানীবাজারের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, শিক্ষক সহকর্মী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।
প্রফেসর দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ আরো বলেন, কর্মক্ষেত্রে যেভাবে সবার ভালোবাসা-শ্রদ্ধায় সময় কাটিয়েছি অবসরে সেই সময় কাটবে পারিবারিক বন্ধনে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি আতাউর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল ওয়াদুদ, জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আহমেদ ফয়সাল, সহ সভাপতি মুকিত মুহাম্মদ, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম, সাপ্তাহিক সম্ভাবনা সম্পাদক মাছুম আহমদ, প্রভাষক মো: জহির উদ্দিন। এ সময় সাংবাদিকরা প্রফেসর দ্বারকেশ চন্দ্র নাথের বিগত দিনের স্মৃতি মনে করে বক্তব্য রাখেন এবং এতদঞ্চলের শিক্ষার প্রসারে তার অগ্রণী ভূমিকার প্রশংসা করেন।