সাকিব আল হাসানের ঔদ্ধত্যপূর্ন আচরন ও আমরা
১ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাকিব আল হাসান পুরোপুরি ক্রিকেটে মনযোগ দিবেন এটাই ছিল ভক্তদের প্রত্যাশা। অবসরের আগে বাংলাদেশ দলের হয়ে একটি বিশ্বকাপ জিতে ক্যারিয়ারের শেষ করবেন এই রকম আশা সমর্থকরা করতেই পারেন। কিন্তু তিনি তার আচরন পরির্বতন তো করবেন দূরে থাক তার অক্রিকেটসুলভ আচরন অব্যাহত রেখেছেন।
দিন দিন ক্রিকেট মাঠ ও মাঠের বাইরে তার আচরনে যোগ হচ্ছে নুতুন মাত্রা। আজকাল মাঠের পারফরম্যান্স জন্য তিনি শিরোনামে থাকেন না, বরং ঔদ্ধত্যপূর্ন আচরনেই ক্রিকেট পাড়াতে শোরগুল বেশি। এমনা না যে তিনি তার ক্যারিয়ারে আর এই রকম ঘটনা ঘটাননি। সবগুলো ঘটনা নিয়ে লিখতে গেলে অনেক কিছুই বলতে হবে তাই ঔদিকে নাই গেলাম।
সাকিবের মত একজন ইন্টারন্যাশনাল আইকনের কাছ থেকে এটা মোটেও প্রত্যাশিত না। প্রতিবাদ জানানোর অনেক উপায় আছে তার মানে এই না আপনি আপনার সীমানা ঠিক কতটুকু তা ভুলে যা খুশি তাই করবেন।
ক্রিকেটার হিসাবে সাকিব আল হাসান যে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা সেই ক্ষেত্রে কোন দিরুক্তি নেই কিন্তু তার আচরনই সত্যিকারের ভক্তদের কাছে অসহ্যের ব্যাপার।
যদিও সাকিব নিজের ভুল বুঝতে পেরে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন কিন্তু অনেকেই তার এই অখেলোয়াড়সূলভ আচরনকে বিভিন্নভাবে সঠিক প্রমান করার জন্য ওঠে পড়ে লেগেছেন। তার ভক্ত হলেই যে তার সব কাজে সমর্থন করতে হবে এর কোন যুক্তিকতা নেই।
ক্রিকেট মাঠ ও মাঠের বাইরের রাজনীতিকে একটু দূরে সরিয়ে চিন্তা করলে তার আচরন একজন ভক্ত হিসাবে ভীষন খারাপ লাগবে বলে আমার ধারনা। বাংলাদেশের ক্রিকেটে কোন সমস্যা থাকলে স্টাম্প লাথি মেরে ফেলে দেয়া বা অশালীন ভংগিমা করা নিয়শ্চই উত্তম সমাধান না।
সম্প্রতি অয়েলি রবিনসনের উদাহরণ এইক্ষেত্রে আনতেই হয়। তিনি তার অভিষেক ম্যাচে দলের হয়ে ব্যাট ও বল হাতে দুর্দান্ত পারর্ফম করেন।
তা সত্ত্বেও ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড আট বছরের পুরনো কয়েকটি বিদ্দেষমুলক টুইটকে কেন্দ্র করে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে রবিনসনকে। কিন্তু দুখের বিষয় আমরা সাকিবের আচরনকে সমালোচনা করার বদলে তাকে সমানে ডিফেন্ড করে যাচ্ছি 😑😑।
সাকিবের এই আচরনের পেছনে আমাদের ক্রিকেটের সংস্কৃতিও দায় আছে। আমাদের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্তারাও ও কাঠামো দায়ী। কিন্তু দিন শেষে সাকিবের আচরন বর্হিবিশ্ব সাকিবের ইমেজ স্থাপন করবে।
সাকিবের এমন আচরনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অনেক সাপোর্টাররা সমর্থন করলেও বর্হিবিশ্বে তার আচরনের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে।
পরিশেষে বলতে চাই, কেবলমাত্র সাকিব আল হাসানের ভক্ত বলে সবকিছু সাকিবের দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করতে হবে এর কোন স্বার্থকতা নেই। যাহোক শেষ সিদ্ধান্ত আপনার মাঠে সাকিবের বিনয়ী না দাম্ভিক রুপটা দেখতে চান।
Pingback: বাঘের থাবায় কুপোকাত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া! - বিয়ানীবাজারের ডাক ২৪
Pingback: সাকিব আল হাসান সম্পর্কে ১০০টি প্রশ্ন - বিয়ানীবাজারের ডাক ২৪