সিলেটি বধু মাহিয়া মাহীর বিয়ে বিচ্ছেদের প্রসঙ্গে যা বললেন সাবেক স্বামী
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বিচ্ছেদের খবর ফেসবুকে জানিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু কবে, কখন বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়েছে, সে ব্যাপারে তিনি পরিষ্কার করে কিছুই বলেননি। ফেসবুকে দেওয়া পোস্টের মধ্য দিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছেন। বিচ্ছেদের খবরটি প্রকাশের পরপরই তাঁর স্বামী পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আজ রোববার দুপুরে তিনি বলেন, ছয় মাস ধরে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়ায় সমস্যা হচ্ছিল। তাই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
‘কবে আপনাদের বিচ্ছেদ হয়েছে?’ এমন প্রশ্নের জবাবে অপু বলেন, ‘এখনো বিচ্ছেদ হয়নি। তবে আমার আর মাহির পরিবার মিলে বিচ্ছেদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছি আমরা। শিগগিরই আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
কেন এই বিচ্ছেদ, জানতে চাইলে অপু বলেন, ‘ছয় মাস ধরে আমরা চূড়ান্ত চেষ্টা করেছি বিচ্ছেদটা ঠেকানোর, কিন্তু পারিনি। দুজনেরই চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না।
আন্তরিকতার খামতি ছিল না। ওর পরিবার আর আমার পরিবারের মধ্যেও একটা চমৎকার উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তারপরও দুজনের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়াটা সম্ভব হচ্ছে না। দুজন মিলেই পরিবারের সবার সঙ্গে আলাপ করে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে সম্পর্কের ইতি টানতে হলো। আমাদের এই সম্পর্ক শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে কেউ ভুল ব্যাখা করবেন না প্লিজ। মাহিকেও ভুল বুঝবেন না। সংসার না হতেই পারে, তাই বলে আমরা যেন কাউকে দোষারোপ না করি। আমরা বন্ধু ছিলাম, আছি, থাকব।’
অপুর সঙ্গে সংসার করা হচ্ছে না ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা মাহিয়া মাহির। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে বিচ্ছেদের খবর জানিয়ে এই অভিনেত্রী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। মাহির সঙ্গে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তাঁরা বেশ কিছুদিন ধরেই আলাদা থাকছেন। ব্যক্তিগত কিছু বিষয়ে বোঝাপড়া না হওয়ায় সম্প্রতি তাঁরা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।
২০১৬ সালে বিয়ে করেন ঢালিউড তারকা মাহিয়া মাহি। তাঁর স্বামী অপু যুক্তরাজ্য থেকে কম্পিউটার প্রকৌশল নিয়ে পড়ালেখা করে সিলেটে নিজেদের পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করেন। দুই পরিবারের সম্মতিতে সে বছর ২৫ মে তাঁদের বিয়ে হয়।