সিলেটের চৌহাট্টায় সিসিকের শ্রমিকদের সাথে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় সিসিকের সৌন্দর্যবর্ধন উন্নয়ন কাজ চলছে। উন্নয়ন কাজ শুরু হওয়ার পর পরই সিসিকের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী চৌহাট্টা এলাকাস্থ ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ড সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু ফুটপাত ছাড়তে রাজি হননি শ্রমিকরা। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় সিসিক ফুটপাতে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু করতে গেলে পরিবহন শ্রমিকরা এতে বাঁধা দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে।
খবর পেয়ে ট্রাফিক পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের শান্ত করতে পারেননি। এরপর উত্তেজিত শ্রমিকরা সিসিকের শ্রমিকদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি শান্ত করতে সিসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে গিয়েও শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে সিসিকের কয়েকজন কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা চালালে পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে থেকে কাউন্সিলরদের উপর হামলার চেষ্টা করা হলে সংঘের্ষর ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সিসিকের শ্রমিকদের কাজ করতে বাঁধা দেয়ায় খবর পেয়ে চৌহাট্টা এলাকায় ছুটে যান মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার ফয়সল মাহমুদসহ পুলিশের একটি দল। এসময় তারা পরিবহন শ্রমিকেদরকে শান্ত করা চেষ্টা করলে শ্রমিকরা তাদের দাবি মানার জন্য পুলিশকে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। একপর্যায়ে সিসিকের শ্রমিক ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে চৌহাট্টা থেকে আম্বরখানা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার ফয়সল মাহমুদ বলেন, সরকারি রাস্তা দখল করে যানবাহন রাখা হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে। কিন্তু সম্প্রতি সিসিকের উন্নয়ন কাজ শুরু হওয়ায় চৌহাট্টাস্থ এলাকার অবৈধ পরিবহন স্ট্যান্ড সরানোর জন্য বলা হলেও শ্রমিকরা যানবাহন না সরিয়ে বিভিন্ন দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করে। এক পর্যায়ে সিসিকের শ্রমিক ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সিলেট জেলা বাস মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন বলেন, সিসিকের একাধিক বৈঠকে আমাদেরকে বলা হয়েছে গাড়ি রাখার জন্য জায়গা দেয়া হবে। কিন্তু সিসিক তাদের কথা না রেখে আমাদেরকে সরিয়ে দিতে চাইছে। চৌহাট্টাস্থ মাজার সংলগ্ন কিছু জায়গা আছে সেগুলো আমাদেরকে দেয়ার দাবি জানালেও তারা আমাদের দাবি মানছেন না। উল্টো আমাদেরকে সরিয়ে দিতে চাইছেন। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করে যাবো।