সিলেটের জল্লারপারে ১শ’ কোটি টাকা মূল্যের জমি উদ্ধার, স্বপ্নের উদ্যান গড়তে চান মেয়র আরিফ
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
দখলে-দূষণে হারিয়ে যেতে বসেছিলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর প্রায় ১ শ কোটি টাকা মূল্যের জায়গা। সেই জায়গা উদ্ধার করে এবার সেখানে স্বপ্নের উদ্যান গড়ার পরিকল্পনা করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২২ জুন) কয়েক ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে সেই জায়গা উদ্ধার করেন সিসিক কর্তৃপক্ষ।
সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের পার্শ্ববর্তী মহল্লার নাম ‘জল্লারপার’। কিন্তু সেখানে নিশানা ছিলো না কোনো ‘জল্লা’র (জলাশয়)। কয়েক বছর আগে সিসিক কর্তৃক ছড়া উদ্ধার করতে গিয়ে চিহ্ন মেলে হারিয়ে যেতে বসা সেই জল্লাটির।
জানা গেছে, প্রায় ১ শ কোটি টাকা দামের পাঁচ একর জায়গাজুড়ে এই জল্লার অবস্থান। উদ্ধারকৃত জল্লায় এবার উদ্যান গড়ার পরিকল্পনা করছেন মেয়র আরিফ।
মঙ্গলবার সকালে অভিযানের আগে জল্লারপারের জলাভূমিটি ওই এলাকার স্থায়ী ও প্রবীণ লোকজন সিটি করপোরেশনের ভূমি-সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের দেখিয়ে দেন। এরপর জরিপ করে পাঁচ একর জায়গা চিহ্নিত করা হয়। কিছুটা গোলাকার জল্লার জায়গায় খননযন্ত্র চালিয়ে বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়। এরপর জল্লা–তীরবর্তী এলাকায় দখলের উদ্দেশ্যে যত্রতত্রভাবে লাগানো গাছপালা কেটে পরিচ্ছন্ন করা হয়।
ওই এলাকার কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তি জানান, নগরীর ঠিক মধ্যবর্তী এই জায়গা ব্যবসায়িকভাবে মূল্যবান। চারদিকে আলিশান ভবনের মাঝখানে জায়গাটি যে জল্লার, সেটি তাঁরা ভাবতেও পারেননি। কারণ, চারদিকের ভবনমালিকেরা নিজ নিজ সীমানার বাইরে জল্লা দখল করে রেখেছিলেন।
তবে মঙ্গলবার সিসিকের অভিযানে প্রায় সবটুকুই উদ্ধার করা হয়েছে জল্লার জায়গা।
সিসিক সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে জল্লারপাড়ের জল্লার পাশে ছড়া উদ্ধারের পর ২০১৭ সালে ‘ওয়াকওয়ে’ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়। এই প্রকল্পে দখল ও দূষণ ঠেকিয়ে ৯০০ ফুট দীর্ঘ একটি হাঁটার পথ তৈরি হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সূত্র ধরে হারানো জল্লা খুঁজে বের করার বিষয়টি সামনে আসে। সাত বছরের মাথায় মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হলো সেই জল্লা।
সিসিক আরও জানায়, মঙ্গলবারের অভিযানে পাঁচ একর সরকারি জায়গা উদ্ধার করার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। এ জায়গা জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সমন্বয়ে সিটি করপোরেশন জরিপ করে স্থায়ীভাবে সীমানা চিহ্নিত করা হবে। নগরীর কেন্দ্রস্থলের এই এলাকায় জমির শতকের মূল্য ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এ হিসাবে ৫০ একর জায়গার মূল্য ১০০ কোটি টাকার ওপরে।