সিলেটে আজ মঙ্গলবার থেকে পণ্যবাহী পরিবহণ ধর্মঘট
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
সিলেটের জৈন্তাপুরের সারিঘাটে বাশকল বসিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় আন্দোলনে নেমেছে সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপ এবং সিলেট জেলা ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন।
আগামীকাল মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে তারা অনির্দিষ্টকালে জন্য সিলেট-তামাবিল সড়কে পণ্যবাহী সকল গাড়ি চলাচলে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। যদি ৭২ ঘন্টার মধ্যে বাশকল উচ্ছেদ না হলে, সিলেট জেলাভিত্তিক পণ্যবাহী সকল পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
সোমবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপ এবং সিলেট জেলা ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ প্রতিবাদ সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
জেলা ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু সরকারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম হাদী ছয়ফুল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি গোলাম হাফিজ লুহিত, জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সিনিয়র সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন তালুকদার, প্রবীণ শ্রমিক নেতা লোকমান আহমদ, জেলা ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আমির উদ্দিন, ট্রাক মালিক গ্রুপের সাংগঠনিক সম্পাদক শাব্বীর আহমদ ফয়েজ।
জেলা ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম হাদী ছয়ফুল বলেন, ২০১২ সালে আন্দোলনের মাধ্যমে বাশকল উচ্ছেদ করা হয়েছিলো। এখন আবারো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করে বাশকল বসিয়ে চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। অথচ প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছেন। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক’সহ বিভিন্ন দফতরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু কোন ফলাফল না পেয়ে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, গাড়ির বিভিন্ন কোম্পানি কিস্তির নামে ট্রাক মালিকদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করছেন। তাই হয়রানী বন্ধ না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু সরকার বলেন, বাশকল উচ্ছেদ না হওয়ায় আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিলেট তামাবিল-জৈন্তাপুর সড়কে সকল পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান চলাচলে ধর্মঘট শুরু হবে। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, যদি ৭২ঘন্টার মধ্যে বাশকল উচ্ছেদ না হয়, তাইলে সিলেট জেলা ভিত্তিক কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আরো হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এখন থেকে কোন ট্রাক শ্রমিক কোন চাঁদাবাজদের গাড়ি চালাতে পারবে না।
চালালে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, প্রবীণ শ্রমিক নেতা জমির মিয়া, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মন্তাজ আলী, আবুল হোসেন, গেদু মিয়া, জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সহ সম্পাদক মোহাম্মদ রাজ্জিক লিটু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নুর আহমদ খান, দফতর সম্পাদক আফজল চৌধুরী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সোহরাব আলী, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, নির্বাহী সদস্য ও ধোপাগুল পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমীন, নির্বাহী সদস্য শাহদত হোসেন, ফেঞ্চুগঞ্জ ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি রেদওয়ান আহমদ, জেলা ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো. জুবের আহমদ, সহ সম্পাদক আহমদ আলী স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামীম আহমদ, প্রচার সম্পাদক মো. সামাদ রহমান, দফতর সম্পাদক বাবুল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ রাজু আহমদ তুরু, সদস্য শরীফ আহমদ, আলী আহমদ আলী, আব্দুল জলিল, আব্দুল মতিন ভিআইপি, বিলাল আহমদ, জলিল মিয়া, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিখিল চন্দ্র দাস, সাবেক সহ সভাপতি হাসমত আলী হাসু, ট্রাক মালিক গ্রুপ সদস্য আনা মিয়া, তোফায়েল আহমদ রাব্বি, শাহীন আলী, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের দক্ষিণ সুরমা-মোগলাবাজার আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি কাউছার আহমদ, সহ সভাপতি জুমায়েল ইসলাম জুমেল, সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদ, জৈন্তাপুর আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি নুরুল হক, সম্পাদক শফিকুর রহমান, পূর্ব গোয়াইনঘাট আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি ফয়জুল ইসলাম, সম্পাদক আব্দুর রহিম, কানাইঘাট আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন, সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন, গোলাপগঞ্জ আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি বদরুল ইসলাম, সম্পাদক সায়েল আহমদ, কোম্পানীগঞ্জ আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক মাহফুজ মিয়া, পশ্চিম গোয়াইনঘাট আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান, জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মুজিবুর রহমান, আব্দুল জব্বার, প্রবীণ মুরব্বী আজাদ মিয়া, ফরিদ আহমদ, সাদ্দাম হোসেন, মুন্না আহমদ প্রমুখ।