সিলেটে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় চার নম্বর আসামি অর্জুন লস্কর গ্রেপ্তার
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
সিলেট এমসি কলেজ হোস্টেলে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় চার নম্বর আসামি গ্রেপ্তার।
সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় চার নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে, আজ সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার একদিন পর আজ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, আসামিদের ধরতে সিলেটের সব সীমান্ত এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়। বাকি আসামিদের ধরতে এখনও অভিযান চলছে। সব আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় এমসি কলেজসহ সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে, সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। পাশাপাশি দুই থেকে তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে নগরীর শাহপরান থানায় এ মামলা দায়ের করেন তিনি।
মামলার আসামিরা হলেন এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, রবিউল হাসান, তারেক আহমদ ও অর্জুন। এজাহারভুক্ত আসামিদের সবাই আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রঞ্জিত সরকারের অনুসারী এবং ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানা গেছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে রাতভর অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানের রুম থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র এবং একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এমসি কলেজে গিয়েছিলেন ধর্ষণের শিকার হওয়া দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার ওই গৃহবধূ। রাত আটটার দিকে কয়েকজন যুবক তাদের জোর করে ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানের রুমে নিয়ে যায়। পরে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়।
খবর পেয়ে শুক্রবার রাত ১০টায় শাহপরাণ থানা পুলিশ গৃহবধূ ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে। পরে, ওই তরুণীকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।