সিলেটে গৃহবধূ হত্যাঃ প্রেমের বিয়ের দেড় মাস পর খুন হলেন তামান্না
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
সিলেটে প্রেমের বিয়ের দেড় মাস পর স্ত্রী সৈয়দা তামান্নাকে খুনের ঘটনায় স্বামী আল মামুনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে কোতোয়ালি থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের বড় ভাই সৈয়দ আনোয়ার হোসেন রাজা।
এদিকে আল মামুনের বিরুদ্ধে প্রতারণা করে ওই নারীকে বিয়ের অভিযোগ উঠেছে। প্রেমের সম্পর্ক করে তামান্নাকে বিয়ে করলেও মামুন তার আগের বিয়ের তথ্য গোপন ও ভুল ঠিকানা ব্যবহার করেন।
হত্যার মামলায় আসামি আল মামুনের বোন জামাই এমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামি বোন পারভীন, ভাই মাহবুব সরকার, বিলকিস ও ইন্স্যুরেন্স কর্মকর্তা শাহনাজ পারভিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সিলেটের জিন্দাবাজারের আল মারজান শপিং সেন্টারের ঐশি ফেব্রিক্সের মালিক আল মামুনের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জের চরহোগলায়। বিয়ের এক মাস ২২ দিনের মাথায় সোমবার নগরীর উত্তর কাজীটুলার এলাকার একটি বাসার তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে তামান্নার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর তার স্বামী মামুন পালিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের খালাতো ভাই ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, আল মামুন প্রতারণা করে তামান্নাকে বিয়ে করে। মামুন আগেও একটি বিয়ে করে। সে ওই বিয়ের বিষয়টি গোপন করে। বিয়ের ক্ষেত্রে তাকে সহায়তা করেন মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্সে সিলেট অফিসের কর্মকর্তা শাহনাজ পারভিন নামের এক নারী।
মামুনের জাতীয় পরিচয়পত্রটি ভুয়া দাবি করে ইকবাল আরও বলেন, আমরা এনআইডি কার্ডের নাম্বারটি নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের নির্দিষ্ট অপশনে গিয়ে সাবমিট করলে এতে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মান্নান জানিয়েছেন, পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। কী কারণে তামান্নাকে হত্যা করা হয়েছে, তা উদ্ঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে মঙ্গলবার সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার বড় মুকাম কবরস্থানে সৈয়দা তামান্নার লাশ দাফন করা হয়েছে। এর আগে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।