সিলেটে ট্যাঙ্ক লরি শ্রমিক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, প্রতিবাদে সিলেটে বিভিন্ন সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্ক:
সিলেট বিভাগীয় ট্যাঙ্ক লরি শ্রমিক ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন রিপনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দৃর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুর্বৃত্তরা দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্টে তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তা মৃত্যু হয়।
ইকবাল হোসেন দক্ষিণ সুরমারা খোজারখলা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। এছাড়া এ ঘটনায় বাবলা আহমেদ নামে আরো একজন আহত হয়েছেন। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ফজল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্টে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাৎক্ষণিক অপারেশন করে ব্যান্ডেজ করা হয় তাকে। এর পরপরই তিনি মারা যান।
হত্যার ঘটনায় খুনীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন শ্রমিকরা।শনিবার (১১ জুলাই) সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা। এ সময় তারা রাস্তায় টায়ারে আগুন জালিয়ে প্রতিবাদ জানান এবং আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে হামলার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, ইন্ধনদাতা রেলওয়ের ইঞ্জিনিয়ার আলী আকবরকে গ্রেপ্তারর ও প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রুনু মিয়াসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রমিকদের এই বিক্ষোভে একাত্মতা পোষণ করেছেন। বৃষ্টি উপেক্ষা করে দক্ষিণ সুরমা বাবনা পয়েন্ট, চন্ডিপুল পয়েন্ট, পারাইরচক, হুমায়ুন রশিদ চত্বর, শেরপুর সড়ক অবরোধ করে রেখেছে বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা। এতে করে তে করে অসংখ্য আটকে পড়ায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।জানা যায়, শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্ট এলাকার রিপনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শ্রমিক নেতা রিপন দক্ষিণ সুরমার খোজারখলা এলাকার আবিল হোসেনের ছেলে।
এ ব্যাপারে ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু সরকার বলেন, আমার এক সহকর্মী সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছে। আমরা শ্রমিক সংগঠন এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সাথে সাথে এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোরালো দাবী জানাচ্ছি। দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করা না হলে সারা সিলেট বিভাগ জুড়ে কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে।