সিলেটে ফলিক নিয়ে দ্বন্দ্ব : দু’পক্ষকে সরিয়ে দিলো প্রশাসন
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্ক:
সিলেট জেলা মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন জেলা শাখার (বহিস্কৃত!) সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সেলিম আহমদ ফলিককে নিয়ে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আবারও মুখোমুখি হয়েছেন শ্রমিকদের দু’পক্ষ। আজ শনিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল।
তবে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় কাউন্সিলরের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর বা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। শেষ খবর পাওয়া (বেলা আড়াইটা) পর্যন্ত উত্তেজিত দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। তবে পরিস্থিতি ছিলো থমথমে।
জানা গেছে, সম্প্রতি সেলিম আহমদ ফলিকের বিরুদ্ধে শ্রমিক কল্যাণ ফান্ডের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনে পরিবহন শ্রমিকদের একটি পক্ষ। এই ইস্যুতে গত ২ জুন সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় শ্রমিকদের দু’পক্ষ। এতে আহত হন অন্তত অর্ধশত শ্রমিক। ভাঙচুর হয় কয়েকটি যানবাহন। পরবর্তীতে দেড়হাজার লোককে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হলেও এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি এবং বিষয়টি সমাধানের পথে যায়নি।
পরবর্তীতে গত ৯ জুলাই সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের প্যাডে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি ও সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি- সিলেটের আলোচিত শ্রমিক নেতা সেলিম আহমদ ফলিককে সংগঠন থেকে বহিস্কারের ঘোঘণা দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সেলিমকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে বহিস্কারের এ ঘোষণাকে ‘অযৌক্তিক’ দাবি করে নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়াননি সেলিম আহমদ ফলিক। বরং সম্প্রতি তিনি জেলার বিভিন্ন উপ-শাখায় গিয়ে মিটিং করে ‘নিজের দল ভারী’ করার চেষ্টা করছেন- এমনটাই জানা গেছে।
এ নিয়ে দু’পক্ষের দিন দিন বেড়েই চলেছে। এরই জের ধরে আজ শনিবার দুপুরে সিলেট কদমতলি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি এবং রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।
বিপক্ষ শ্রমিকদের দাবি- তারা কার্যালয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে ফলিকপক্ষ হতে আজ বাঁধাগ্রস্ত হন। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এদিকে, বিশৃঙ্খলার খবর পেয়ে দ্রুত দক্ষিণ সুরমা থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
পরবর্তীতে স্থানীয় কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন ও দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতার হোসেন দু\’পক্ষের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। এসময় আলোচনাসাপেক্ষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় তিনদিন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুহিত।
পরিস্থিতি শান্ত করা এবং শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়ার বিষয়টি সিলেটভিউকে ওসি আখতার হোসেন ও কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন নিশ্চিত করেছেন।
সুত্র: সিলেটভিউ