সিলেটে বন্যায় পানিবন্দি ১৫ লাখ মানুষ, বাড়ছে আতংক
সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সীমান্তবর্তী কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি সামান্য হ্রাস পেলেও সিলেট পয়েন্টে বেড়েছে। এতে করে সিলেটের ছয় উপজেলাসহ নগরীর বেশির ভাগ মানুষ এখন পানিবন্দি। আকস্মিক এই বন্যায় মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
সময় যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে বানভাসি মানুষের সংখ্যা। বিভিন্ন সড়ক ডুবে গিয়ে উপজেলা ও জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার এমনকি সরকারি দফতরগুলোতে উঠেছে পানি। বন্যাকবলিত হয়ে পড়া সিলেট নগরীর আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
সুরমার তীরঘেঁষা শাহজালাল উপশহর, সোবহানীঘাট, ছড়ারপাড়, কালিঘাট, তালতলা, কাজিরবাজার, শেখঘাট, ঘাসিটুলা, লালাদিঘির পাড় এলাকাসহ মহানগরীর অন্তত ১৫টি ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
বন্যার পানিতে শত শত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়ির জিনিসপত্র ভিজে নষ্ট হয়েছে। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে সবখানে। বুধবার (১৮ মে) নগরের বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের জন্য নগরে ১৬টিসহ ২৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন লোকজন। তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সিলেট জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, জেলায় ২৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এরমধ্যে ৭৮টিতে মানুষ অবস্থান করছেন। এছাড়া বন্যার্তদের জন্য এ যাবত ১৪৯ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরসঙ্গে ১ হাজার বস্তা শুকনো খাবারও বরাদ্দ করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০০৪ সালে নগরীর অনেক এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল। এরপর প্রতি বর্ষায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও এবারের মতো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানায়, সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, লোভাসহ সিলেটের সবগুলো নদ-নদীর পানি বাড়ছে। নদ নদীর বিভিন্ন স্থানে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।