স্মার্টফোন কেনার সামর্থ্যহীন শিক্ষার্থীদের তালিকা চেয়ে চিঠি
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্ক:
করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতির কারণে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিত করতে চায় সরকার। তবে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার কারণে সব শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কেনার সামর্থ্য নেই। তাই শিক্ষার্থীদের অনলাইনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যেসব শিক্ষার্থীর ডিভাইস (স্মার্টফোন) কেনার সামর্থ্য নেই তাদের তালিকা তৈরির অনুরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
রোববার (৯ আগস্ট) এ বিষয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে পাঠানো চিঠিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।
ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করার অভিপ্রায়ে ২৫ জুন কমিশন এবং উপাচার্যদের মধ্যে জুম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।
অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যেসব শিক্ষার্থীর ডিভাইস কেনার আর্থিক সক্ষমতা নেই, শুধু সেসব শিক্ষার্থীর নির্ভুল তালিকা ২৫ আগস্টের মধ্যে ই-মেইলে ([email protected]) পাঠানোর অনুরোধ করেছে ইউজিসি।
ইউজিসি সূত্র জানিয়েছে, উপাচার্যদের মতামতের ভিত্তিতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে যাতে সব শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারেন সেলক্ষ্যে উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধাসহ শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ডাটা সরবরাহ এবং সফট লোনের আওতায় স্মর্টফোন সুবিধার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য কমিশন থেকে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর চিঠি পাঠানো হয়। ’
পৃথক চিঠিতে বলা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্তৃক স্বীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধি/প্রবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ ও প্রতিপালন করা অবশ্য কর্তব্য। চাকরিবিধি/প্রবিধি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে অন্য কোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিগতভাবে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা বা কোন ধরনের লাভজনক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকতে পারেন না। কিন্তু কোনো কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের মধ্যে কেউ কেউ চাকরিবিধি/প্রবিধি অমান্য করে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে একদিকে যেমন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যাচ্ছেন, অন্যদিকে আবার কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানও পরিচালনা করছেন-যা কমিশনের গোচরিভূত হয়েছে। এহেন কর্মকাণ্ড চাকরি বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক স্বার্থে স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধি/প্রবিধি যথায প্রয়োগ, অনুসরণ ও প্রতিপালনের নিশ্চয়তা বিধানের জন্য উপাচার্যগণকে অনুরোধ জানানো হয়।
তথ্যসুত্র: যুগান্তর