হবিগঞ্জে চাচি ডেকে দরজা খুলিয়ে মা-মেয়েকে ধর্ষণের ভয়াবহ স্বীকারোক্তি
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
চাচি ডেকে দরজা খুলিয়ে মা-মেয়েকে ধর্ষণের ভয়াবহ স্বীকারোক্তি
দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে মা-মেয়েকে গণধর্ষণের ঘটনার আসামি শাকিল মিয়া ও তার বন্ধু হারুন মিয়া।
সোমবার (৫ অক্টোবর) বেলা ৩টায় হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে আসামিরা দায় স্বীকার করে এ জবানবন্দি দেয়। হবিগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক ওসি আল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামিরা হলো জেলার চুনারুঘাট উপজেলার জিবধর ছড়া এলাকার সফিক মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২৫)ও একই এলাকার রেজ্জাক মিয়ার ছেলে হারুন মিয়া (১৯)। এই ঘটনায় মামলার অন্যতম আসামি সালাউদ্দিন পলাতক রয়েছে।
কোর্ট ইন্সপেক্টর ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) গণমাধ্যমকে জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ি এলাকায় গত শুক্রবার গভীর রাতে গরমছড়ি ফরেস্ট এলাকায় মাজারে ঘুরতে যায় শাকিল হারুন ও সালাউদ্দিনসহ তার দলবল। সেখানে তারা হাত মুখ ধুয়ে মাজারের অদূরে পাহাড় বেষ্টিত পূর্বদিকের টিলায় জনৈক এক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে গৃহবধূকে চাচি ডেকে দরজা খুলতে বলে। পূর্ব পরিচিত ওই গৃহবধূ শাকিলকে চা-পান দেন। এ সুযোগে শাকিলের নেতৃত্বে একদল যুবক হানা দিয়ে গৃহবধূ ও তার মেয়েকে হাতে মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর ভিকটিম মেয়ে বাদী হয়ে শনিবার রাতে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে রোববার বিকেলে চুনারুঘাট থানার ওসি (তদন্ত) চম্পক দামের নেতৃত্বে এসআই শেখ আলী আজহার ও এসআই মুসলিম উদ্দিনসহ একদল পুলিশ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করেন।
হবিগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক ওসি আল আমিন জানান, আদালতে স্বীকারোক্তি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।