১৭ বছর পর অনুষ্ঠিত বিশ্বনাথের দশঘর ইউপি নির্বাচনে জিতলেন বিএনপি’র এমাদ উদ্দিন
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদে দীর্ঘ ১৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে নির্বাচন। তিন প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষ পর্যন্ত জয়ের মালা পড়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী জবেদুর রহমান, বিএনপি মনোনীত ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থী এমাদ উদ্দিন খান এবং স্বতন্ত্র ‘ঘোড়া’ প্রতীকের প্রার্থী সামছু মিয়া লয়লুছ (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) এই তিনজনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভোটগণনা শেষে ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এমাদ উদ্দিন খানকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তিনি ৩ হাজার ১৬৬ ভোট পেয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী জবেদুর রহমান পেয়েছেন ২ হাজার ৭৮১ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ‘ঘোড়া’ প্রতীক নিয়ে সামছু মিয়া লয়লুছ পেয়েছেন ২ হাজার ৭৪১ ভোট।
অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টি মনোনীত ‘লাঙ্গল’ প্রতীকের প্রার্থী আবদুল মন্নান ১২২ এবং ‘আনারস’ প্রতীকের প্রার্থী আবুল হোসেন (বিএনপির বিদ্রোহী) পেয়েছেন ১ হাজার ৫০৬টি ভোট।
এর আগে দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। নতুন ভোটারদের পাশাপাশি নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভোটকেন্দ্রগুলোতে আসেন প্রবীণরা। নতুন ভোটারদের মধ্যে ছিল প্রথম ভোট দেওয়ার আনন্দ, আর প্রবীণদের মধ্যে ছিল অনিয়ন-দুর্নীতিকে দূর করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করার মন্ত্র।
শতভাগ স্বচ্ছতা, সুষ্ট ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে নানান পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রগুলোতে প্রেরণ করা হয় ব্যালট। তা ছাড়া নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন ১০ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৪৫ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ৮৫ জন পোলিং অফিসার।