৫ এপ্রিল থেকে মেট্রোরেল চলবে ছয় ঘণ্টা
আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ঢাকার মেট্রোরেল প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা চলাচল করবে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত ট্রেন চলবে। বর্তমানে সকালে চার ঘণ্টা মেট্রোরেল চলাচল করছে।
আজ ৩০ মার্চ ইস্কাটনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, আগামীকাল শুক্রবার থেকে আরও দুটি স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে ওঠা-নামা করা যাবে। এগুলো হচ্ছে উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন। এর মাধ্যমে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত থাকা ৯টি স্টেশনের সব কটি চালু হতে যাচ্ছে। আগামী জুলাই থেকে মেট্রোরেল পুরোদমে চলাচল করবে বলে জানান ডিএমটিসিএল এমডি। তখন ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে মেট্রোরেল চলবে। আগামী ডিসেম্বরে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালুর চেষ্টা চলছে।
ডিএমটিসিএল এমডি জানান, গতকাল বুধবার পর্যন্ত মেট্রোরেলে যাত্রী পরিবহন করে আয় হয়েছে ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। এই সময়ে যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে ১০ লাখ ৭৭ হাজার। খরচ হয়েছে ৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকার মতো। খরচের বেশির ভাগ গেছে বিদ্যুতের পেছনে। সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণ, বেতন ও অন্যান্য খরচ রয়েছে।
গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের লাইন-৬-এর উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটারে উড়াল রেলপথের মধ্যে উত্তরার (দিয়াবাড়ি) অংশ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরদিন থেকে সাধারণ যাত্রী নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ঢাকায় মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হয়।
এরপর ধাপে ধাপে কয়েকটি স্টেশনে যাত্রী ওঠা–নামা চালু করা হয়েছে। মঙ্গলবার সাপ্তাহিক ছুটি হিসেবে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকে।
এম এ এন সিদ্দিক বলেন, ‘আমরা দেশবাসীকে কথা দিয়েছিলাম, মার্চের মধ্যে সব স্টেশন খুলে দেওয়া হবে। আমরা সেই কথা রাখতে পেরেছি। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। স্টেশনের কাজ প্রায় শেষ। প্রবেশ ও বের হওয়ার পথের নির্মাণকাজ চলছে। প্রকল্পের অধীন নতুন করে কোনো জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে না।’
৩৩ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা খরচ করে রাজধানীর উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মেট্রো রেলপথের নির্মাণকাজ চলমান। এর মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার চালু হয়েছে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ চলতি বছরের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা আছে। আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিতাংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সাল নাগাদ।
সুত্রঃ প্রথম আলো