অলস সময় পার করছেন বিয়ানীবাজারের কাপড় ব্যবসায়ীরা
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই মৌসুম সিলেটের বিয়ানীবাজারের কাপড়ের মার্কেটে তেমন বেচাকেনা ছিল না। তবে সংক্রমণ কমে আসায় এবার সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশায় ছিলেন ব্যবসায়ীরা। ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রোজা শুরুর ১০ থেকে ১৫ দিন আগে থেকেই নিত্যনতুন ডিজাইনের অনেক বেশি কাপড় দোকানে মজুতও করেন ব্যবসায়ীরা। সাধারণত রোজা শুরুর দিন থেকেই জমে উঠে বিয়ানীবাজারের কাপড়ের ব্যবসা।
কিন্তু এবার রোজা শুরুর দিন থেকে হঠাৎ করেই বিয়ানীবাজারের কাপড়ের দোকানগুলোতে বিক্রি একেবারেই কমে গেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। করোনার আগে প্রতিবছর যেখানে ১ম রোজা থেকে চাঁদ রাত পর্যন্ত বিক্রয়কর্মীদের কথা বলার সুযোগ থাকতো না, সেখানে তারা এখন অনেকটা অলস সময় পার করছেন।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিয়ানীবাজারের কাপড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন দোকানের কর্মীরা টুলে বসে আছেন। ক্রেতা না থাকায় দোকানের মালামাল ঠিকঠাক করছেন কেউ কেউ আবার পাশের দোকানের বিক্রয়কর্মীর সঙ্গে গল্পে মেতেছেন। যেখানে ক্রেতাদের একের পর এক মালামাল দেখানো আর দরদাম নিয়ে পুরোদমে ব্যস্ত থাকার কথা, সেখানে অলস সময় পার করা কর্মীরা ক্রেতা দেখলেই করছেন ডাকাডাকি। এমন চিত্র বিয়ানীবাজারের প্রায় সব মার্কেটেই।
ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, বিয়ানীবাজারে প্রায় অর্ধ শতাধিক মার্কেটে ছোটবড় কাপড়ের দোকানের সংখ্যা ২ হাজারেরও বেশি। এসব মার্কেটে কাপড়ের দোকানের পাশাপাশি ছোট ছোট কসমেটিকস সহ বিভিন্ন পণ্যের দোকানও রয়েছে।