অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের আইকনিক জিহ্বা বের করা ছবির পেছনের গল্প
আপনি যখনই আলবার্ট আইনস্টাইনের কথা চিন্তা করবেন, তখন তার থিওরি অফ রিলেটিভিটিই সর্বপ্রথম আপনার মাথার পোকা নাড়া দিবে। E =mc2 তারই এমন এক দিগবিজয়ী সূত্র যা উপর ভিত্তি করে আধুনিক বিজ্ঞান এক নতুন দিশা খুজে পেয়েছিল। আপনি যদি একজন নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে কোন না কোন সময় ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে আইনস্টাইনের আইকনিক সেই জিহ্বা বের করা ছবি অবশ্যই দেখার কথা।
দার্শনিকের মত চিন্তার রাজ্যে মগ্ন হতেই পারেন পেছনের গল্পটি সম্পর্কে জানার জন্য। এক মুহুর্তের জন্য আশ্চর্য্যচকিত হতে পারেন ঠিক কি কারনে আইনস্টাইনের মত একজন সেরা বিজ্ঞানী এই রকম অংগভংগি করেছিলেন। জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ান এর ভাষ্য মতে এই স্থিরচিত্রটি বিশ শতকের অন্যতম সেরা প্রেস ফটোগ্রাফি। ছবিটি তুলা হয় ১৯৫১ সালের ১৪ই মার্চ এবং দিনটি ছিল আইনস্টাইনের জন্মদিন। যেহেতু তিনি একজন বিখ্যাত ব্যাক্তি তাই তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে অনেক ফটোগ্রাফার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে সমবেত হয়েছিলেন বিশেষ মুহুর্তটাকে স্মরনীয় করে রাখার জন্য ।
যাহোক তিনি অনুষ্ঠানটি শেষ করে বাড়ি ফেরার উদ্দ্যেশে গাড়ির পেছনের সিটে ডাঃ ফ্রাংক, ও তার স্ত্রীর মেরি জিনতে এর মধ্যখানে বসে আছেন। তাকে গাড়িতে দেখে উৎসুক আলোকচিত্রীর একটি দল এগিয়ে আসে। খুব স্বাভাবিকভাবেই অনুষ্ঠানের ধকলে তিনি আর ছবি তোলার মত পরিস্থিতিতে ছিলেন না এবং তার মধ্যে একটা বিরক্তি ভাব চলে এসেছিল।সেজন্য তিনি চিৎকারও করে উঠেন এবং বলেন দে্ট ইজ এনাফ ( That’s enough)। যার বাংলা অর্থ হচ্ছে যথেস্ট হয়েছে আর না। কিন্তু কে শুনে কার কথা ।
ক্লান্তি এবং বিরক্তি বোধ থেকে তিনি তার জিহ্বাটা বের করেন খুবই অল্প সময়ের জন্য। ইউপিআই থেকে আগত আর্থার সাসে খুবই ভাগ্যবান ছিলেন এবং নিমিষের মধ্যেই মুহুর্তটিকে তার ক্যামেরায় বন্দি করেন। তার এই ক্লিকটি শেষ পর্যন্ত ঐতিহাসিক হয়ে যায়। ছবিটা আইন্সটাইনের কাছে ভালো লেগেছিল এবং তিনি এই ছবির ফটোগ্রাফার শাসেকে বলেছিলেন তাকে ৯ পিস প্রিন্ট করে দেওয়ার জন্য যাতে তিনি এটিকে ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা কার্ডে ব্যবহার করতে পারেন। এই ছবিটিকে আমরা কালজয়ী হিসিবে চিনি। অনেক দিন পর্যন্ত ছবিটি একইভাবে সংরক্ষিত ছিল। ২০১৭ সালে এই ছবিটি বিক্রি হয়েছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ডলারের বেশ বড়-সড় একটি মুল্যে।