আকবর গ্রেফতার; পুরস্কার ঘোষণাকারী প্রবাসী সামাদ খাঁনকে খুঁজছে জনতা
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
সিলেট বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান উদ্দিনকে নির্যাতন করে হত্যায় অভিযুক্ত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন এক প্রবাসী। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সিলেটের গোলাপগঞ্জের সন্তান সামাদ খাঁন এ ঘোষণা দিয়েছেন।
সামাদ খাঁন বলেছিলেন, বন্দরবাজার ফাঁড়িতে রায়হান উদ্দিনকে নির্মম নির্যাতন করে হত্যায় অভিযুক্ত এসআই আকবরকে ধরিয়ে দিতে পারবেন, কিংবা প্রশাসনের যে সাহসী ব্যক্তি আকবরকে গ্রেফতার করতে পারবেন তাকে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। এ বিষয়ে তার সঙ্গে ফেসবুক মেসেঞ্জার অথবা এই মোবাইল নম্বর +১ (৮৬২) ৬০০-১৫৮৮-এ যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সামাদ খাঁনের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায়। সোমবার (৯ নভেম্বর) সকালে কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। রাত পৌনে ৮টার দিকে তাকে পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানিয়েছেন।
সন্ধ্যা ৫টা ৫৫ মিনিটে কঠোর নিরাপত্তায় তাকে কানাইঘাট থেকে সিলেট পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা আকবরের ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। তবে ফেসবুকে রহিম উদ্দিনের প্রশংসা হচ্ছে সর্ব মহলে। রহিম উদ্দিন কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির দনা সীমান্ত এলাকার মৃত তরফ আলীর পুত্র। তার মাধ্যমে খাসিয়াদের সাথে আলোচনা করে আকবরকে দেশে আনা হয়। তাকে খাসিয়ারা খবর জানানোর পর সে তার সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে সীমান্তের অপারে গিয়ে খাসিয়াদের সঙ্গে আলোচনা করে নিজের হাতে বেধে দনা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সামাদ খাঁনের ঘোষণার ১০ লাখ টাকা পুরস্কার কে পাবেন। এনিয়ে ফেসবুকে তোলপাড় বিরাজ করছে। পুলিশ না রহিম উদ্দিন। সামাদ খাঁন কি পুরস্কারের কথা রাখবেন? ইা শুধু তিনি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার জন্য ঘোষণা দিয়েছেন। এ নিয়ে চলছে সিলেটের সর্ব মহলে আলোচনা-সমালোচনা।