আবারও সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে বাংলাদেশ?
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বাড়তে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখনই পুনরায় না খুলতে এবং কোনো পাবলিক পরীক্ষা না নিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণ লকডাউন দেওয়ার প্রস্তাবও রাখেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। একইসঙ্গে তারা স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করতে এবং করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো পুনরায় চালু করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম গতকাল রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা আলোচনার জন্যে এই বিষয়গুলো বৈঠকে উপস্থাপন করেছি। আলোচনার জন্যে এগুলো ছিল আমাদের প্রস্তাব। আমরা আলোচনা করেছি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। তবে, সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, সে বিষয়ে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
আগামীকাল ৪১তম বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কি না, জানতে চাইলে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সদস্য শাহজাহান আলী মোল্লা গতকাল রাতে ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পরীক্ষার আর মাত্র এক দিন বাকি। আমরা পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে প্রশ্নপত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠিয়ে দিয়েছি। পরীক্ষার্থীরা বিভাগীয় শহরগুলোতে চলেও এসেছেন। এখন পরীক্ষা বন্ধ করা কঠিন।’
গত ১০ দিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া উচ্চ সংক্রামক করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়তে পারে বাংলাদেশেও।
সভা-সমাবেশ, রাজনৈতিক সমাবেশ, নির্বাচন, পর্যটন, ধর্মীয় সভা, ইফতার অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজন যেখানে জনসমাগম বেশি হয় সেগুলো সীমিত বা বন্ধ করা এবং আরও বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করা হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে। এর মধ্যে রয়েছে, দেশের সব প্রবেশপথে স্ক্রিনিং জোরদার করা, সংক্রমিত কারো সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের কোয়ারেন্টিনে নেওয়া ইত্যাদি।
সূত্রঃ সময় নিউজ