এইচএসসিতে সিলেট বোর্ডে মেয়েরা এগিয়ে
সিলেট বোর্ডে এবারও এগিয়ে মেয়েরা
সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার পাশের হারে ছেলেদের চেয়ে ২ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এগিয়ে মেয়েরা। ছেলেদের পাসের হার ৯৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ, আর মেয়েদের ৯৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সিলেট বোর্ডে সার্বিকভাবে পাশের হার ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৩১ শিক্ষার্থী।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ফল প্রকাশ করেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল।
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত বছর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় সবাইকে অটোপাস ঘোষনা করা হয়। তবে এবার সংক্ষিপ্ত পরিসরে পরীক্ষা হয়েছে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত এবারের পরীক্ষায় মোট ৬৬ হাজার ৬৬১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৬৩ হাজার ১৯৩ জন।
সিলেট বোর্ডের অধীনে চার জেলায় মধ্যে সিলেটে ৯৫ দশমিক ৮০, হবিগঞ্জে ৯৪ দশমিক ৮১, মৌলভীবাজারে ৯৩ দশমিক ২২ ও সুনামগঞ্জে ৯৪ দশমিক ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গত বছরের মতো এবারো ছেলেদের ছেয়ে মেয়েরা ভাল ফল করছে। ৩০ হাজার ২১৬ জন ছেলে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৮ হাজার ৩০৬ জন। অন্যদিকে ৩৬ হাজার ৪৪৫ জন মেয়ে পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩৪ হাজার ৮৮৭ জন। ছেলেদের পাসের হার ৯৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ আর মেয়েরা পাস করেছে ৯৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
সিলেটে বোর্ডে এবার মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভাল ফল করেছে। মানবিক বিভাগে ৯৬ দশমিক ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করেছে ৯২ দশমিক ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। এবার ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৯০ দশমিক ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
পাসের হারের দিকে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভাল ফল করলেও জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মোট জিপিএ-৫ পাওয়া ৪ হাজার ৭৩১ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা পেয়েছে ২ হাজার ৫৩৮টি জিপিএ-৫। আর মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ১৯৩ জন।
শতভাগ পাস ৫৩ কলেজে , কেউ পাশ করেনি এমন কলেজ শুন্য। সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এবারের পরীক্ষায় অংশ নেয়া ২৯৯ টি কলেজের মধ্যে ৫৩ টি কলেজ শতভাগ পাসের গৌরব অর্জন করেছে।
আর কেউ উত্তীর্ণ হতে পারেননি এমন প্রতিষ্ঠান নেই সিলেট শিক্ষাবোর্ডে।ফলাফল বিশ্লেষনে দেখা গেছে, মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ পাঁচ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪ হাজার ৭৩১ জন। এছাড়া এ গ্রেডে ২০ হাজার ৭৩৮ জন, এ মাইনাস গ্রেডে ১৮ হাজার ৯৩ জন, বি গ্রেডে ১২ হাজার ৭৮৯ জন, সি গ্রেডে ৬ হাজার ৫৬৮ জন ও ডি গ্রেডে ২৭৪ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।