ওয়ানডেকে টেস্ট বানিয়ে হোয়াইটওয়াশের পথে বাংলাদেশ!
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
জয়ের জন্য ৩১৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ ওভারে ২৬ রানে ৩ উইকেট পড়লে কি খোলসে মুখ লুকোতে হয়? আধুনিক সময়ের ক্রিকেট অন্তত তা অনুমোদন করে না। তাতে অবশ্য মোহাম্মদ মিঠুন-মুশফিকুর রহিমের কিছু যায় আসেনি।
শুরুর বিপর্যয় ঠিকঠাক করার চাপে রানের চাকা প্রায় থামিয়ে উইকেটে থিতু হওয়ার লড়াই করছিলেন মুশফিক-মিঠুন। পঞ্চম উইকেটে ৬৯ বলে ২২ রান যোগের পর ভাঙে তাদের জুটি। কাইল জেমিসনের করা ১৮তম ওভারের শেষ বলে ধৈর্য হারিয়ে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিঠুন।
৩৯ বলে তাঁর ৬ রানের ইনিংস আক্ষেপের চেয়ে বেশি অবাক করবে। ব্যাটসম্যান হিসেবে সামর্থ্য থাকায় জয়ের পিছু না ছুটে মিঠুন কেন এমন টেস্ট মেজাজে ব্যাট করলেন সে প্রশ্ন থাকবে। কারণ পরিস্থিতি প্রতিকূল হলেও রান করার সুযোগ ছিল।
বেসিন রিজার্ভে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৪.১ ওভারে ৬ উইকেটে ৭৮ রান তুলেছে বাংলাদেশ। উইকেটে রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসান। আগের দুই ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ।
সপ্তম ওভারে লিটন দাস (২১) আউট হওয়ার সময় দলের ওভারপ্রতি রানের গড় ছিল ৩.৭১। মিঠুন আউট হওয়ার সময় রান তোলার এই গড় ছিল ২.৬৬। দ্রুত উইকেট পড়ার চাপে ওয়ানডে ম্যাচকে যেন টেস্ট ক্রিকেট বানিয়ে তুলেছিলেন মুশফিক-মিঠুন।
মুশফিকও নিজের স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিং করেছেন। ৪৪ বলে ২১ রান করে জিমি নিশামকে ফিরতি ক্যাচ দেন তিনি। মাঝে এক বল পর মেহেদী হাসান মিরাজকেও তুলে নেন নিশাম।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে এ পর্যন্ত ৩ উইকেট নিয়েছেন পেসার ম্যাট হেনরি। তাঁর বলে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ৯ বলে ১ রান করেন তিনি।
মাঝে এক ওভার পর সৌম্য সরকারকেও তুলে নেন হেনরি। এবার পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন সৌম্য (১)। লিটনও একই শট খেলতে গিয়ে টাইমিং গড়বড় করে আউট হন।