জুড়ী-ফুলতলা রাস্তার বেহাল দশা রাস্তায় গাছ ফেলে জনগনের প্রতিবাদ
জুড়ী – ফুলতলা রাস্তায় গাছ ফেলে সাধারন জনগনের প্রতিবাদ
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে কাজ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত জুড়ি- ফুলতলা রাস্তার কাজের নিস্পত্তি হয়নি। এর প্রতিবাদে সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ পক্ষে থেকে ১০ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১২ টার দিকে জুড়ী কামিনীগঞ্জ বাজারে রাস্তায় গাছ ফেলে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। সাধারন জনগণকে এসময় ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা যায়। এসময় তাদের পক্ষ থেকে ১ সপ্তাহের মধ্যে রাস্তার কাজ শুরু করে তড়িৎ গতিতে শেষ করার আহ্বান জানানো হয়। যদি ১ সপ্তাহের ভেতর কাজ শুরু না হয় তাহলে তারা আবার রাস্তা ঘেরাও কর্মসূচী দিবেন বলে নিশ্চিত করেন।
এই রাস্তাটি জনগনের অনেক দিনের দাবি হওয়া সত্তেও রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে না। বাংলাদেশের পরিবেশ ও জলবায়ু এর মাননীয় মন্ত্রী এ ব্যাপারে জনগণকে আশ্বস্ত করলেও রাস্তার কাজ খুবই ধীর গতিতে এগুচ্ছে। বর্তমানে ব্রিজ তৈরি সহ রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ চললেও ঠিক কত দিনে রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হবে তা বলা কঠিন।
বর্ষা মৌসুমে জনগণের দুর্দশা চরম আকার ধারন করে। বৃষ্টির পানিতে রাস্তার থাকা বড় গর্তগুলো পানিতে ভরে যাওয়ায় কারনে গাড়ির চাকা আটকে যায়। এই রাস্তাটি স্থানীয় এলাকাবাসীর অনেক দিনের দাবি থাকলেও অজানা কোন এক কারনে কাজটি অনেক দিন ধরেই সঠিক গতিতে এগুচ্ছে না।
যেহেতু এই রাস্তা বর্ডারের সাথে সংযুক্ত আছে তাই এর গুরুত্ব খুব স্বাভাবিকভাবেই অপরিসীম । এই রাস্তাটির গুরুত্ব বিবেচনায় দ্রুত গতিতে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কচ্ছপের গতিতে চলছে কাজ। বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিগন প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবিকভাবে এর প্রতিফলন হচ্ছেনা।
জুড়ী থেকে ফুলতলা রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে বাংলা নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ২৪ ৫ নভেম্বর ২০১৬ সালে একটি রিপোর্ট করছিল। কিন্তু সেই রিপোর্ট করার পাচ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনও কাজের সুরাহা হয়নি। যার ফলে যাত্রীরা চরম দুর্দশায় পড়েছেন। রাস্তায় অনেক গর্ত থাকার কারণে যাত্রীদের বেহাল দশা। বড় গর্তের কারনে দুর্ঘটনার ঝুকিতো রয়েছেই। বিশেষত অসুস্থ ও বয়স্করা চরম অসুবিধাতে পড়েছেন। রাস্তার বড় গর্তের কারনে যানবাহনের চাকা সহজেই বিকল হয়ে যাচ্ছে, যার দরুন বাস ও সিএনজির মালিকগন বড় প্রতিনিয়ত আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন।
অত্র এলাকার ব্যবসা বানিজ্য এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল থাকার কারনে স্থানীয় ব্যবসায়ীগন মালামাল পরিবহন করার জন্য বাড়তি ভাড়া গুনচ্ছেন। এছাড়া রাস্তায় প্রচুর পরিমানে ভাঙ্গা থাকায় গন্তব্য পৌছাতে দিগুন সময় লাগছে যার ফলে শিক্ষার্থীরা যথা সময়ে স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌছাতে যথা সময়ে যেতে পারছেন না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের অংগিকার সত্যিকার অর্থে বাস্তাবায়ন করার জন্য এই রাস্তার কাজ সম্পুর্ন করা এখন সময়ের দাবি। যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে খুব শীঘ্রই যথাযথ কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার মাধ্যমে রাস্তার কাজের গতি ত্বরান্বিত করা হবে।