জুড়ী নদীতে ভাঙন, ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ার আশংকা
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্ক:
জুড়ী নদীর বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা জায়ফরনগর ইউনিয়নের বেলাগাঁও গ্রামের পূর্বপাড়ের রাস্তা।
দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এ রাস্তায় চলাচলকারী প্রায় ৫ হাজার মানুষ। নদীগর্ভে ধসে পড়ার ঝুঁকিতে নদী তীরবর্তী কয়েকশ’ ঘরবাড়ি। জুড়ী নদীর ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিন গেলে নদীভাঙ্গনে দুর্ভোগের শিকার বেলাগাঁও গ্রামের ভুক্তভোগী জনসাধারণ জানান, প্রতিবছর বর্ষাকালে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের তীব্রতা বাড়লে নদী তীরবর্তী রাস্তাটির বিভিন্ন অংশ ধসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ অবস্থায় এলাকার লোকজন প্রতিবছর নিজ উদ্যোগে নৌকাযোগে মাটি ভরাট করে রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে তুলেন।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও শীতকালে তাদের নিজ অর্থায়ন ও পরিশ্রমে মাটি ভরাট করে রাস্তাটি সংস্কার করলেও গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে নদীর স্রোত বেড়ে যাওয়ায় ৪-৫ দিন থেকে রাস্তার বিভিন্ন স্থান নদীতে ধসে পড়তে থাকে।
রাস্তার কোনো কোনো অংশের পুরোটাই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। রাস্তাটির আরও অনেকটি স্থান ধসে পড়ার হুমকিতে রয়েছে। এতে জনসাধারণের যাতায়াত ও নদী তীরবর্তী ঘরবাড়ি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান, কামাল আহমেদ, অদু মিয়া জানান, যে রাস্তা দিয়ে কয়েকদিন আগেও গ্রামবাসী নির্বিঘ্নে চলাচল করতেন, সেই রাস্তা আজ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এলাকার প্রায় ৫ হাজার মানুষের চলাচলের পুরো রাস্তাটি ধসে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে।
ইউএনও অসীম চন্দ্র বণিক জানান, স্থানীয় এমপি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের নির্দেশে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থায়ীভাবে নদীভাঙ্গন রোধের সুযোগ না থাকলেও সাময়িক ব্যবস্থা নেয়ার সম্ভাব্যতা তিনি যাচাই-বাছাই করেছেন। দ্রুত এটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিচ্ছেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সমস্যার স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব নয়, তাই সাময়িক ব্যবস্থা নিতে ইউএনওকে নির্দেশ দিয়েছি। যাতে নদী তীরবর্তী রাস্তা ও মানুষের ঘরবাড়ি রক্ষা পায়।