পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ড, বাংলাদেশ ৬৮তম
বিশ্বের সব চাইতে সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে ফিনল্যান্ডের অবস্থান। এর ঠিক পরেই রয়েছে আইসল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের নাম। তালিকায় যে ৯৫টি দেশ জায়গা পেয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে তলানিতে রয়েছে জিম্বাবুয়ে। এই দেশটির ঠিক ওপরেই রয়েছে তানজানিয়া, জর্ডান, ভারত ও কম্বোডিয়া।
এই মহাবিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় এক নম্বর স্থান দখল করে আছে ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ড। আর লাল সবুজের দেশ হিসাবে পরিচিত আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের অবস্থান ৬৮তম। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) গত এক বছর ধরে সমগ্র বিশ্বজুড়ে তান্ডব চালাচ্ছে। যার ফলে ২৭ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু দেখেছে বিশ্ব। এই ভাইরাসের প্রভাবে ব্যহত হয়েছে জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে।তাই অনুনেয়ভাবে কোভিড-১৯ প্রভাবকে ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে সুখী দেশ নির্বাচনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়েছে।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এটি টেকসই উন্নয়ন নেটওয়ার্কের সুখবিষয়ক নবম বার্ষিক প্রতিবেদন। আজ ২০ মার্চ বিশ্ব সুখ দিবসে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হবে। তবে তার আগে প্রতিবেদনটির আংশিক প্রকাশ করা হয়েছে। আংশিক এই প্রতিবেদনে ৯৫টি দেশের নাম ছিল।
আংশিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এবার বাংলাদেশের স্কোর ৫ দশমিক ২৮০। গত বছরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪ দশমিক ৮৩৩। তার আগের বছর স্কোর ছিল ৪ দশমিক ৪৫৬। আর ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪ দশমিক ৫০০।
এর আগে ২০২০ সালের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট-এ ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৭তম। তার আগের বছর ১৫৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১২৫তম হয়েছিল। আর ২০১৮ সালে ১৫৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১১৫তম অবস্থানে ছিল। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আংশিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ছাড়া শুধু ভারতের নাম রয়েছে। এই তালিকায় ভারতের অবস্থান ৯২তম।
এর আগে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি), গড় আয়ু, মানবিকতা, সামাজিক সহায়তা, স্বাধীনতা ও দুর্নীতির ওপর ভিত্তি করে সুখী দেশগুলোর তালিকা করা হতো। এর সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে করোনা পরিস্থিতি।
প্রতিবেদনটি তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক বিশ্লেষক ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গ্যালপ এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান লয়েডস রেজিস্টার ফাউন্ডেশনের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া করোনা মহামারিসংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ব্রিটিশ ইন্টারনেটভিত্তিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউগভের আইসিএল-ইউগভ বিহেভিয়ার ট্র্যাকার থেকে।এবারের প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী দলে ছিলেন কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ
কলাম্বিয়ার অধ্যাপক জন হেলিওয়েল। তিনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ‘(করোনা পরিস্থিতি সত্ত্বেও) আশ্চর্যজনকভাবে মানুষের ভালো থাকায় গড় হিসাবের দিক থেকে তেমন কোনো নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যায়নি। এর একটি কারণ হতে পারে, মানুষ করোনা মহামারিকে সবার ক্ষেত্রেই বাহ্যিক হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে। ফলে একধরনের সংহতির সৃষ্টি হয়েছে।’