বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা, নিহত বেড়ে ৫
শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সরকার সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচ জন হয়েছে। এর আগে এই ঘটনায় তিন জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছিল দেশটির পুলিশ।
সোমবার শ্রীলঙ্কার সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সরকার সমর্থকদের সংঘর্ষ নিয়ে দেওয়া লাইভ আপডেটে এই তথ্য জানায় টাইমস অব ইন্ডিয়া। নিহতদের মধ্যে ক্ষমতাসীন এক এমপি ও এক বিক্ষোভকারী নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এ ছাড়া সংঘর্ষে দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কলম্বো ন্যাশনাল হাসপাতালের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কলম্বোর সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১৩৮ জন আহত ব্যক্তি হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছেন।
এর আগে পুলিশ বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছিল, সংঘর্ষ চলাকালে কলম্বোর নিতাম্বুওয়া এলাকায় বিক্ষোভকারীরা এমপির গাড়ি ঘিরে ধরে। এ সময় এমপি বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। এতে দুই বিক্ষোভকারী গুরুতর আহত হন। পরে আহত দুই জনের মধ্যে এক বিক্ষোভকারী মারা যান।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে শ্রীলঙ্কা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে এমপি পার্শ্ববর্তী একটি ভবনে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ওই ভবনটি ঘিরে ফেললে এমপি নিজের পিস্তল দিয়ে নিজেকে গুলি করেন।
এদিকে সদ্য পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের কুরুনেগালাস্থ বাসভবনসহ রাজাপাকসে পরিবারের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, এমপি, সাবেক মন্ত্রী ও স্থানীয় নেতাদের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা।
অর্থনৈতিক সংকটকে কেন্দ্র করে শ্রীলঙ্কায় চলমান আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেওয়ায় তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে সরকারি সূত্র বলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তার পদত্যাগপত্র প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠিয়েছেন।
মাহিন্দা রাজাপাকসের মুখপাত্র রোহান ওয়েলিভিটা বলছেন, ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীন হওয়া দেশটি ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে ৭৬ বছর বয়সী মাহেন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগপত্র জমা দেন। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ‘নতুন ঐক্যমতের সরকার’ গঠনের জন্য পথ পরিষ্কার করতেই প্রেসিডেন্টের অনুরোধে তিনি পদত্যাগ করেন।