বিয়ানীবাজার উপজেলা কৃষকলীগের কমিটি নিয়ে আলোচনার-সমালোচনার ঝড়
নিজস্ব প্রতিনিধি
বিয়ানীবাজার উপজেলা কৃষকলীগের সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে বিয়ানীবাজারে তোলপাড় চলছে। ফেসবুকে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। অবিলম্বে ঘোষিত কমিটি বাতিল করে পুনরায় কমিটি দেয়ার দাবিতে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক দায়িত্বশীলদের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। উপজেলা কমিটিতে স্থান পাওয়া অধিকাংশ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় লেখালেখি ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এমনকি এই কমিটিতে জামাত শিবিরের কর্মীর নাম রয়েছে বলে অনেকে মন্তব্য করছেন। বাংলাদেশ কৃষকলীগ, সিলেট জেলা শাখার প্যাডে তারিখ বিহীন কমিঠি ফেসবুকে পাওয়া যায়। এই প্যাডে দেখা যায় যে, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির তারিখ ছাড়া স্বাক্ষর ও সীল রয়েছে এবং সিলেট জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে সীল ও তারিখ ছাড়া স্বাক্ষর রয়েছে। তা দেখে বুঝার কোন উপায় নেই বাংলাদেশ কৃষকলীগ বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার কমিঠি কবে অনুমোদিত হলো।
কমিটিতে যাদের নাম দেওয়া হয়েছে তারা অনেকেই অনুপ্রবেশকারী, জামাতের সমর্থিত বলে সোশাল মিডিয়ায় অভিযোগ করছেন অনেক নেতাকর্মীরা। আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যার যার ফেইসবুক আইডি থেকে এ কমিটি নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি জমির উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম উপজেলা কৃষক লীগের দায়িত্বশীল থাকাবস্থায় কমিটি বাতিল না করে তাদের অনুপস্থিতিতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তারা বলেন, কমিটি গঠনের জন্য জেলা কমিটি আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করেননি। তারা যদি কমিটি গঠনের লক্ষে যোগাযোগ করতেন তাহলে আমরা কার্যকরী কমিটি বসে তৃনমূলের নেতাদের নিয়ে সম্মেলন করে একটি সুন্দর কমিটি উপহার দিতাম। আমরা সোশাল মিডিয়ায় দেখতে পাচ্ছি এ নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে।
এ কমিটি গঠনের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিয়ানীবাজার উপজেলার সন্তান কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ অর্থ সম্পাদক ও কৃষকলীগের সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক কমিটির সদস্য রেজাউল হক রাসেল বলেন, বিয়ানীবাজার উপজেলা কৃষক লীগের কমিটি কে বা কারা গঠন করেছে আমি অবগত নই। তিনি আরও বলেন তৃণমূলের অসংখ্য নেতাকর্মীরা আমাকে মুঠোফোন তথাকথিত কমিটি গঠনের ব্যাপারে জানতে চেয়েছে। আমি এবিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষকলীগের প্যাডে উল্লেখিত ফোন নাম্বারে মুঠোফোনে বার বার কল দিলেও কেউ ফোন রিসিভ করেন নি। এজন্য এ বিষয়ে জেলা কৃষকলীগের কোন বক্তব্য তুলে ধরা সম্বব হয়নি।