বিয়ানীবাজারে ইকবাল মৃত্যুরহস্য উদঘাটন হয়নি ১৩ মাসেও: তদন্তে পিবিআই
বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের দিঘলবাগে নিহত ইকবাল হোসেনের (২৬) মৃত্যুর রহস্য ১৩মাসেও উদঘাটন হয়নি। দীর্ঘসময় থেকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পুরো পরিবার। একদিকে স্বজন হারানো বেদনা অন্যদিকে মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে আদালত আর আইনশৃংখলা বাহিনীর দ্বারে-দ্বারে ঘুরে সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছে নিহত ইকবালের পরিবারের। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে ইকবাল মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)। নিহত ইকবাল হোসেন উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের দিঘলবাক গ্রামের মৃত মস্তফা উদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে ট্রলি চলাচলকে কেন্দ্র করে উপজেলার শেওলা বাজারে গত ২১ এপ্রিল সন্ধ্যায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন ইকবাল হোসেন। তাকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে ঢাকায় চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপর তাকে বাড়ি নিয়ে আসা হলেও ইকবাল আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারেনি। দীর্ঘদিন নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন শয্যাশায়ী অবস্থায় থেকে তিনি গত ৪ জানুয়ারী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
সূত্র জানায়, সংঘর্ষের পর নিহত ইকবালের মা লাইলী বেগম বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা (নং ৮/৭৪) দায়ের করেন। এতে দিঘলবাক গ্রামের জড়াই মিয়ার ছেলে আব্দুর রশুক (৩৭), আব্দুল মালিকের ছেলে সেলিম উদ্দিন (৪৫), জড়াই মিয়ার ছেলে মাসুক মিয়া (৪৮) ও জসিম উদ্দিন (৩০), আব্দুল মালিকের ছেলে সাহেদ আহমদ (৩০) কে আসামী করা হয়।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, ওই মামলা চলমান থাকাবস্থায় নিহত হন ইকবাল হোসেন। এতে মামলার বাদী বিয়ানীবাজার থানায় পৃথক আরেকটি সাধারন ডায়রী (নং ১৮৭) করেন। পরবর্তীতে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-৪ এ হত্যাকান্ডের ধারা সংযুক্ত করতে আবেদন করেন মামলার বাদী। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ইকবাল নিহতের রহস্য উদঘাটনে পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, ইকবালের মৃত্যুর আগেই পুলিশ সংঘর্ষের মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেছি। পরবর্তীতে সে মারা যায়। এক্ষেত্রে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে আদালতের কাছে প্রেরণ করেছি।