বিয়ানীবাজারের উদীয়মান হিরো
মোঃ জাকির হোসেন, নিউইর্য়ক থেকেঃ
বর্তমান আধুনিক বিশ্বের ডিজিটাল যুগের সফটওয়্যারের বদৌলতে কঠিনতম কাজগুলো সহজ হয়ে উঠেছে। হাজার ও কোটি মাইলের দুরত্ব কিংবা বিশ্বের এ প্রান্তের ঘটে যাওয়া ঘটনা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রতিটি মিনিটের নিত্য নতুন খবর। অফিস সময়ের ফাকে ট্রাভেলিংয়ের অলস সময়ে বিশ্বের কম বেশি সবাই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারে ব্যস্তময় সময় অতবাহিত করতে দেখা যায় অহরহ। ভালো-মন্দ মিলে মিশে সবই এখন হাতের মুঠোয়।
বিশ্বের এক প্রান্তে ছোট একটি দেশ বাংলাদেশ। তারই অন্য প্রান্তে সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলা। এ উপজেলার এক জনপ্রতিনিধি দেশের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। নিজের মেধা আর যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে। করোনা ভাইরাসের এই মহাদূর্যোগের সময় কয়েকজন ডাক্তারদেরকে সঙ্গে নিয়ে করোনা পজেটিভ ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যাচ্ছে। বর্তমান সামাজিক মিডিয়া তার উজ্জ্বল প্রমাণ। বর্তমান বিয়ানীবাজার পৌরশহরের হিরো জনগনের ভোটে নির্বাচিত পৌর মেয়র মোঃ আব্দুস শুকুর।
অনেকের সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায়, মেয়র আব্দুস শুকুর স্হানীয় ডাক্তারদের অনুপ্রেরণা, সাহস ও মনোবলের যোগানদাতা। তিনি সঙ্গে সঙ্গ না দিলে হয়তো এই ডাক্তারদের মনোবল হারিয়ে যেত। বিয়ানীবাজারের উদিয়মান ডাক্তারের মধ্যে আরেক হিরো ডা. আবু ইসহাক আজাদ। আজাদ ও তার দল ইতি মধ্যে অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। সকল ভয়কে জয় করেছেন। দেশের সবকটি জেলা উপজেলার মধ্যে বিয়ানীবাজারই সর্বক্ষেত্রে উর্ধ্বে। এখানকার জনপ্রতিনিধি ডাক্তার এই বৈশ্বিক মাহামারি তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
জনপ্রতিনিধি (মেয়র) বিজ্ঞপ্তি কিংবা কাউন্সিলরদের মাধ্যমে দু-চারদিন মাইকিং করে শহরের জনগনকে সচেতনতার পরামর্শ দিয়ে বিরত থাকার কথা। অথচ বিরত না থেকে নিজে করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে গিয়ে পরামর্শ অব্যাহতভাবে দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ডা. আবু ইসহাক আজাদ তার দল-বল নিয়ে শহর থেকে উপজেলার সর্বত্র রোগীদের দরজায় দরজায় কড়া নাড়ছেন। তা যেন নতুন এক ইতিহাসের সৃষ্টি। আজাদ চেম্বার কিংবা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বসে না থেকে দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট দায়িত্বশীল ভুমিকায় দেখা যাচ্ছে।
জনস্বার্থের জন্য তোষামুদি করা ভালো তবে অন্যের পদ-পদবির পাওয়ার পর- তোষামুদি করা থেকে বিরত থাকা সচেতন নাগরিকের দায়িত্ববোধ। এই বিপর্যয়ের সময়ে জনগনকে সচেতন করার লক্ষ্যে জুড়ালো ভুমিকায় যারা রয়েছেন। তারাই প্রশংসার দাবীদার।
সৃষ্টির সেরা জীব- মানুষ, মানুষের নামের মূল্য অনেক বেশি। তাইতো নামের পরিচয় ঘটে কাজের মাধ্যমে। কাজ এবং নাম দুটি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। নিজের দোষগুন নিজে বিবেচনা করে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার নামই জিবন।
সুতোর লাটিম ছাড়িয়ে দিয়ে গুড়ি উড়তে দেওয়া যেমন বোকামি, তেমনি যোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া জনগনের খেদমত করা অকল্পনীয়। বিয়ানীবাজারবাসী মহামারি করোনা ভাইরাসের সময় যোগ্য নেতৃত্বের যোগ্য প্রমান স্ব-চক্ষে দেখতেছেন।
লেখকঃ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক ও বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সদস্য।