বিয়ানীবাজারের বাসুদেব মন্দির পুলিশ সুপারের পরিদর্শন
নিজস্ব সংবাদদাতা
বিয়ানীবাজার উপজেলার প্রাচীন দেবপীট পৌরশহরের সুপাতলাস্থ শ্রী শ্রী বাসুদেব মন্দিরের ভেতর জোর করে প্রবেশের চেষ্টা, প্রার্থনারত ভক্তদেরকে মারধর, সেবায়েত নারীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন (পিপিএম)।
মঙ্গলবার দুপুরে তিনি বাসুদেব মন্দিরে যান। এ সময় তিনি এ ঘটনার বিষয়ে বাসদেব মন্দিরের সেবায়েত ও কমিটির লোকজনের সাথে কথা বলেন এবং ওই দিনকার ঘটনার বিষয়ে জানেন। পরে তিনি বক্তব্যে বলেন, বিয়ানীবাজারের অতি প্রাচীন তীর্থ স্থান এটি। বাসুদের মন্দিরের সামনে একটি বিরাট পুকুর। অতি প্রাচীন কয়েকটি মন্দির রয়েছে। সব মিলিয়ে এই তীর্থ স্থানটি অত্যন্ত সুন্দর।
তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমি সাথে সাথে খোঁঁজ নিয়েছি। বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলেছি এ বিষয়ে আপনাদের সব ধরনের সহযোগীতা করার জন্য। প্রশাসন সব সময় আপনাদের সাথে আছে। আপনারা আমাদের কাছ থেকে সব ধরনের সহযোগীতা পাবেন। তিনি পুলিশ প্রশাসনে পক্ষ থেকে বাসুদেব মন্দিরে সি.সি ক্যামেরা লাগানোর ঘোষনা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসপি মিডিয়া) লুৎফুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) জাকির হোসাইন, বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিল্লোল রায়, বাসুদেব সেবক সংঘের সভাপতি দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ধ্রুবপদ ভট্টাচার্য্য, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার সভাপতি অরুণাভপাল চৌধুরী মোহন, বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্টাচার্য্য, বিয়ানীবাজার জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন’র সভাপতি আহমেদ ফয়সাল, পুজা উদযাপন পরিষদ বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার দুপুরে বাসুদেব মন্দিরে পূজা চলাকালীন সময়ে মোহাম্মদ আলী আহমদ নামে এক ব্যক্তি মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এসময় প্রার্থনাকারী লোকজন তাকে বাধা দিলে সে চড়াও হয়ে প্রার্থনাকারী ও সেবায়েতকে মারধর করে মন্দিরের গেইটের চাবি কেড়ে নেয়। সেবায়তের স্ত্রী মন্দিরের দরজা লাগিয়ে দিয়ে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন। এ সময় সে সেবায়েতের স্ত্রীকে মাটিতে ফেলে দিয়ে তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং মন্দিরের চাবি কেড়ে নিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। পরে থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানালে পুলিশ এসে ঘটনাকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাসুদেব মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।