বিয়ানীবাজারের মাহি উদ্দিন সেলিম ফের জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বিয়ানীবাজারের মাহিউদ্দিন সেলিম। একইসঙ্গে তার প্যানেলের ২৫ প্রার্থীই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন। এর আগে প্রায় পাঁচ বছর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন মাহি উদ্দিন সেলিম।
বুধবার ২৫ প্রার্থীকেই নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আসলাম উদ্দিন।
নির্বাচিতরা হলেন- সহসভপতি হাজী এম এ ছাত্তার, আফজাল রশীদ চৌধুরী, মঈন উদ্দিন আহমদ ও ফেরদৌস চৌধুরী রুহেল। সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম জাবির চৌধুরী জাবু এবং যুগ্ম সম্পাদক পদে আব্দুল মালিক রাজা ও হানিফ আলম চৌধুরী। কোষাধ্যক্ষ সাহিদ আহমদ জুয়েল, কার্যনির্বাহী সদস্য পদে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, জুনেদ আহমদ, শমশের জামাল, আব্দুর রকিব, রেজওয়ান আহমদ, দীপাল কুমার সিংহ, সৈয়দ তাকরিমুল হাদী ক্বাবী, আবু আনাম মিরাজ জাকির, সমর চৌধুরী, নূরে আলম খোকন, মাহমুদ হোসেন শাহীন, হাজী মিলাদ আহমদ, ফাহিম মুর্শেদ চৌধুরী বাবু, রাজ্জাক আহমদ, মোস্তাক আহমদ পলাশ, মারিয়ান চৌধুরী মাম্মী ও হাসিনা মহিউদ্দিন।
পদাধিকার বলে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি পদে থাকেন জেলা প্রশাসক। এর আগে গত ১৯ নভেম্বর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে একটিমাত্র প্যানেল মনোনয়নপত্র জমা দেয়। দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ থাকলেও এবারের নির্বাচনকে ঘিরে সমঝোতা হয়। পরে উভয় পক্ষের আগ্রহীদের নিয়েই গঠন করা হয় প্যানেল।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার) বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার শেষ সময় ছিল। ভোট গ্রহণের জন্য ৫ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে একটিমাত্র প্যানেল থাকায় ভোট গ্রহণের আর প্রয়োজন পড়েনি।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১০ সালের ডিসেম্বরে। ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০১৫ সালের এপ্রিলে সিলেটের জেলা প্রশাসককে আহবায়ক ও মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিমকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭ সদস্যের একটি কমিটি করে দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে সিলেটের পুলিশ সুপার, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. সিরাজ উদ্দিন, সদস্য পদে অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, বিজিত চৌধুরী ও নাজনীন হোসেন ছিলেন। এই আহবায়ক কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আইনি ঝামেলা সামনে আসায় মেয়াদ বাড়তে থাকে কমিটির। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে উচ্চ আদালত থেকে আগামী ডিসেম্বরের শুরুতেই নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশ আসে।