বড়লেখায় ট্রিপল মার্ডার : আরও ২ আসামি গ্রেপ্তারের পর ৩ দিনের রিমান্ডে
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্ক:
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলার আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বড়লেখা আদালতের কাছে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি শরাফত আলী ও ২ নম্বর আসামি মারফত আলী।
এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি’র মৌলভীবাজার কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দাস মামলার মূলরহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বড়লেখা আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (ম্যাজিস্ট্রেট) হরিদাস কুমার দুই আসামির ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৬ জুলাই রাতে বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের আজিমগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে মামলার এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
মামলার আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির মৌলভীবাজার কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দাস বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বলেন, ‘মূল রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে দুজনকে রিমান্ডে এনে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের নিমিত্তে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাতে বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের ভোলারকান্দি গ্রাম থেকে কাতারপ্রবাসী আকামত আলীর স্ত্রী মাজেদা বেগম (৩৬), মেয়ে লাবণী বেগম (৭) ও ছেলে ফারুক আহমদের (৪) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূ মাজেদার চাচাতো ভাই ইমরান আলী ২১ ডিসেম্বর রাতে বড়লেখা থানায় মামলা করেন (নম্বর-৮)।
এতে মাজেদা বেগমের চাচা শ্বশুর শরাফত আলীকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করেন। মামলার পর ওই বাড়ির তিন নারীকে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। মা-সন্তানসহ তিনজনের মৃত্যু ঘিরে নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়।
তবে এটি পরিকল্পিত একটি হত্যাকাণ্ড বলে পুলিশ ও এলাকাবাসী ধারণা করছিলেন। কিন্তু মৃত্যু রহস্যের কোনো ক‚ল-কিনারা করতে পারেনি থানা পুলিশ। কয়েক মাস পর মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এ স্থানান্তর হয়। পিবিআই- এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে প্রায় বছর খানেক পর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তবে আদালত পর্যালোচনা পূর্বক প্রতিবেদন গ্রহণ না করে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। প্রায় ৭ মাস আগে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির মৌলভীবাজার কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দাস।
তথ্যসুত্র: সিলেট টুডে