মাস্টারপিস বাংলাদেশের উদ্যোগে নাগরি শিক্ষা ও চর্চা বিষয়ক আনুষ্ঠান
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
মাস্টারপিস বাংলাদেশ ও ইউএনডিপি’র যৌথ উদ্যোগে সামাজিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় ছিলটি নাগরি লিপি, মণিপুরী ও খাসি ভাষার সচেতনতা বিষয়ে ৫ মাস মেয়াদি প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক যাত্রা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
গতকাল (১৯ আগস্ট) বুধবার বিয়ানীবাজার পঞ্চখণ্ড গোলাবিয়া পাবলিক লাইব্রেরির হলরুমে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় শুরুতে উক্ত প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন মাস্টারপিস বাংলাদেশের সমন্বয়ক জামিল হোসেন। উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হাসান শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র মোঃ আব্দুস শুকুর ও বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আশিক নূর।
মূলত সিলেটের ঐতিহ্য সিলেটি ভাষার
বর্ণ নাগরি লিপি কে বিলুপ্তি থেকে জাগ্রত করা ও নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মাঝে তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য মাস্টারপিস বাংলাদেশ এই প্রকল্পটির উদ্যোগ গ্রহণ করে।একই সাথে তারা দুটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা মণিপুরী ও খাসি ভাষার সচেতনতা নিয়েও কাজ করার উদ্যোগ নেয়।এই প্রকল্পে ইউএনডিপি (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি) সহযোগিতা করবে বলে সম্মতি জ্ঞাপন করে। ৫ মাস মেয়াদি প্রকল্পের এই তিনটি ভাষার সচেতনতা বৃদ্ধিতে সিলেট বিভাগের ৩ টি জেলার ১২০ জন শিক্ষার্থী, ১২ জন শিক্ষক ও ৪ জন রিসোর্স ব্যক্তি নিয়ে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি ও পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ৫ মাস অনুশীলন শেষে প্রথমে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিদ্যালয়ভিত্তিক ও পরে গ্র্যান্ড ফাইনাল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।এতে সবাইকে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে এবং একজন কে বাচাই করে সর্বোচ্চ পুরস্কার প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থীদেরকে মূলত নিজেদের আঞ্চলিক ভাষার বর্ণমালা শেখার ও জানার জন্য উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা প্রদান করাই মূল লক্ষ্য। যাতে তারা ছিলটি নাগরি লিপির ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন পঞ্চখণ্ড গোলাবিয়া পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আহমদ, বিয়ানীবাজার আদর্শ মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ফয়ছল আহমদ, আবাহনী ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক এবাদ আহমদ, কবি ওয়ালী মাহমুদ, বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মুকিত মুহাম্মদ, বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সহ সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয়, দক্ষিণ মুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ললিত মোহন বিশ্বাস, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ।