রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক আর নেই
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্ক
বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক আর নেই। রোববার ভোর সোয়া ৬টায় রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।
আজ বেলা ১১টায় শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য মরদেহ ছায়ানটে নেওয়া হবে। তাকে দাফন করা হবে কেরানীগঞ্জের বড় মনোহারিয়ায় বাবা-মায়ের কবরের পাশে।
মিতা হকের ননদাই শিল্পী সোহরাব উদ্দিন জানান, গত ৩১ মার্চ মিতা হক করোনা আক্রান্ত হন। এর পর তিনি নেগেটিভ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে যান। তিনি কিডনি রোগে ভুগছিলেন, তাই তাকে ডায়লাইসিস করতে হতো।
শনিবার ডায়ালাইসিসের সময় তার প্রেসার ফল করে। এর পর বাসায় নেওয়ার পর ফের তার প্রেসার ফল করলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, মিতা হক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
এর পর রোববার ভোর সোয়া ৬টায় রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মিতা হকের জন্ম ১৯৬২ সালে। তিনি বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে।
মিতা হক প্রথমে তার চাচা ওয়াহিদুল হক এবং পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সন্জীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন। ১৯৭৪ সালে তিনি বার্লিন আন্তর্জাতিক যুব ফেস্টিভ্যালে অংশ নেন। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তবলা বাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে সংগীত শেখা শুরু করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে নিয়মিত তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সংগীত পরিবেশনা করেছেন।
মিতা হক অভিনেতা-পরিচালক খালেদ খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। খালেদ খান ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এই দম্পতির ফারহিন খান জয়িতা নামে এক কন্যাসন্তান রয়েছে।
এ ছাড়া তিনি ছায়ানটের রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের প্রধান ছিলেন। মিতা হক সুরতীর্থ নামে একটি সংগীত প্রশিক্ষণ দল গঠন করেন, যেখানে তিনি পরিচালক ও প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন।
সুত্র: যুগান্তর