রায়হান হত্যা: আকবর অবৈধভাবে সীমানা পেরিয়ে পালিয়েছেন ভারতের মেঘালয়ে!
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
মেঘালয়। উঁচু উঁচু পাহাড়গুলো যেনো মেঘ ছুঁতে চায় প্রতিনিয়ত। সিলেটের সীমান্তে উঁকি দিলে দেখা যায় সেই মেঘ-পাহাড়ের লুকোচুরি। রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতায় অমিত-লাবণ্যের রহস্যময় প্রেমের সাক্ষী মেঘালয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত বুকে নিয়ে শীতল এক জনপদ মেঘালয়। কোনো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ণনার উদ্দেশ্যে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গল্প আজ নাহয় থাক। আজ মেঘালয় রাজ্যের বর্ণনাটি সম্পূর্ণ বিপরীত উদ্দেশ্যে, সৌন্দর্য নয় নৃশংসতার ধারাবাহিকতায় আজ শিরোনামে এসেছে মেঘালয়।
সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নৃশংসতার যে গল্প লেখা হয়েছে সে কাহিনীর মূল হোতা বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া অবৈধভাবে সীমানা পেরিয়ে পালিয়েছেন মেঘালয়ে। পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আকবর হোসেন ইতোমধ্যেই মেঘালয়ে পৌঁছে গেছেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
ওই সূত্র বলছে, রায়হানের মৃত্যুর পরদিন সোমবার বিকেলে সিলেট নগরী ছাড়েন এসআই আকবর। সিলেটের সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে দুই দিন আত্মগোপনে থাকার পর বুধবার ভোরে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেন আকবর হোসেন ভূঁইয়া। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন এক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সিলেট নগরীর কাষ্টঘরের সুলাই লালের ঘর থেকে ধরে এনে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনের পর রোববার ভোরে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে মারা যান নগরীর আখালিয়া নেহারিপাড়া এলাকার মৃত রফিক মিয়ার ছেলে রায়হান আহমদ।
এরপর ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য রোববার দিনভর ‘গণপিটুনি’ বলে প্রচারের চেষ্টা চালান বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর হোসেন। রোববার গভীর রাতে বন্দরবাজার ফাঁড়ির সকল পুলিশকে অভিযুক্ত করে কোতোয়ালি মডেল থানায় আসামিদের অজ্ঞাত রেখে মামলা করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি
সূত্র : দৈনিক একাত্তরের কথা